পুলিশকে ধন্যবাদ জানালেন ছাত্রলীগ সভাপতি


১৫আগস্ট শোক দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্রকরে বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জকে সমর্থন জানিয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ছাত্রলীগের একপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানসহ তাদের সমর্থকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, আমরা শোক র্যালী নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় দুর্বৃত্তরা আমাদের লক্ষ্য করে পেছন থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পুলিশের গাড়ীসহ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। আমরা আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে চলে আসি।এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই যে, পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে খবর প্রচার করা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, এঘটনায় ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত থেকেও থাকলে সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনা৷ আমি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে। তবে এঘটনায় ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত থাকলে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
যেখানে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এঘটনাকে কেন্দ্রকরে পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সেখানে ছাত্রলীগের এমন মন্তব্য সাংঘর্ষিক কি না' প্রশ্ন করলে ছাত্রলীগের সভাপতি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং তিনি বলেন, তিনি (শম্ভু) মাননীয় সাংসদ সদস্য আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, তিনি আমাদের নেতা। তিনি যে বিষয়ে মন্তব্য করেছেন আমি সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি ভবনে আটকিয়ে গনহারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
এইচকেআর
