আমতলীতে সড়ক সংস্কারে পাল্টে গেছে গ্রামীন জনপথের চিত্র


বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (দ্বিতীয় পর্যায়ে) কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। বেকারদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মসৃজনে পাল্টে গেছে ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদ ও রাস্তাঘাটের চিত্র।
৮নং ওয়ার্ডের রিয়াজ মিয়া বলেন, এই রাস্তা দিয়া বর্ষকালে হাটাচলা করা যেতনা। ছেলে- মেয়েরা স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বই খাতা কলাম ভিজে যেত। কোন মানুষ অসুস্থ হযে পড়লে ভোগান্তির শেষ থাকতো না। এবছর রাস্তাটি সংস্কার করায় এখন চলাচলের জন্য অনেক সুবিদা হয়েছে।
ঘোপখালীর জালাল মিয়া বলেন, মোগো রাস্তাটি সংস্কার করায় মোগো কষ্ট এহন অনেক কমে গেছে। স্থানীয় মনির বলেন, রাস্তা দুটি দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করেন। এখন স্থানীয় মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নাশির ডিলার বাড়ী থেকে সুলতান হাওলাদার বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত একই ইউনিয়নের ঘোপখালী ৩নং ওয়ার্ড গ্রামের আলম ঘরামীর বাড়ী থেকে আম্বিয়া বাড়ি মসজিদ পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি বিগত ১০ বছরে কোনো রকম সংস্কার হয় নাই। রাস্তা দুটিতে জনসাধারণের একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান সোহিলী পারভিন মালার তত্ত¡াবধানে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম ৪০ দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় কিস্তিতে এ রাস্তা সংস্কার করায় স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তি শেষ হয়েছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্ধা মো. আব্দুস সালাম বলেন, স্থানীয় কিছু উন্নয়ন বিমুখ ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ সহ্য করতে পারছেনা। এই ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপি জামাতের লোকেরা বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যম মিথ্যা অসত্য তথ্য দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
৮ নং ওর্য়াড ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম বলেন, ভাল কাজের দাম নাই। অনেক কষ্ট করে সরকারের বিধি মোতাবেক এই রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করেছি। তারপও একটি মহল বিভিন্ন মাধ্যমে দুর্নাম ছড়াচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের নিয়ে দুর্নামকারীদের জবাব দেয়া হবে।
আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহিলী পারভিন মালা বলেন, অতিদরিদ্র পরিবারের অক্ষম লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্প একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি। এ কর্মসূচি চালু হওয়ায় এলাকার শত শত বেকার পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এত সুন্দর কাজ করার পরও একটি মহল মিথ্যা দুর্নাম ছড়াচ্ছে । আড়পাঙ্গাশিয়ার জনসাধারনদের সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, কাজটি সুন্দর হয়েছে। সরকারী বিধি মোতাবেক কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এইচকেআর
