জোয়ারের পানিতে প্লাবিত আমতলী ফেরিঘাট


পূর্নিমার জোয়ারের পানিতে বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে ডুবে গেছে পুরাকাটা-আমতলী ও ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পায়রা নদীতে তীব্র জোয়ারে আমতলী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশুসহ সবাই কোমর সমান পানির মধ্যে দিয়ে তীরে উঠছেন। কেউ বা আবার ফেরিতে উঠছেন। কখনো কখনো স্থানীয়রা তাদের নৌকা দিয়ে তীর থেকে গ্যাংওয়ে পর্যন্ত জনপ্রতি ১০ মটরসাইকেল ৫০ টাকা নিয়ে যাত্রীদের পারাপার করছেন। তবে ইজিবাইক, ট্রাক নিয়ে চালকদের ভোগান্তি তে পড়তে হয়। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তাই জোয়ারের পানি না নামা পর্যন্ত তারা ফেরিতে উঠতে পারে না।
মাত্রারিক্ত জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে আটকে পড়া ব্যবসায়ী ইমরান মিয়া বলেন, ‘আমি মুদি ব্যবসায়ী। প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে জেলা শহর বরগুনা গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ঘাট ডুবে যাওয়ায় মালামালসহ ইজিবাইক নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারছি না। এখানে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ধরে বসে আছি।
মোটরসাইকেলচালক সজীব হাওলাদার বলেন, ‘জোয়ারের কোমর সমান পানিতে ফেরিঘাট ডুবে গেছে। এখন যদি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে চাই, তাহলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে ৫০টাকা দিয়ে নৌকা দিয়ে ফেরিতে উঠছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার আমতলীর পানি পরিমাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জোয়ারের প্রভাবে নদীতেই জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ১৭ সিন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিন উচ্চ জোয়ার অব্যাহত থাকবে।
এইচকেআর
