জোয়ারের পানিতে ভাসছে আমতলীর গাজীপুর বন্দর


বরগুনার আমতলীর ঐতিহ্যবাহি গাজীপুর বন্দরে বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে ভাসছে গাজীপুর বন্দর। জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয় গাজীপুর বাসীর। বছরের পর বছর এ দশা গাজীপুর বন্দরের। গাজীপুর বন্দরকে রক্ষায় দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা ।
জানাগেছে, ১৯৩৮ সালে আমতলী ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী বড় গাবুয়া ও সোনাখালী নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছে গাজীপুর বন্দর। গাজীপুর বন্দরে কয়েকশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিন হাট বসে। সরকার আসে সরকার পরিবর্তন হয় বন্দরকে রক্ষায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি আজও। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে প্রতিদিন ভাসছে এবং ভাটার শুকাচ্ছে ওই শহরটি। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, তিন দিকে দুইটি নদী বেষ্টিত বন্দর গাজীপুর। দুই নদীর জোয়ারের পানিতে পুরো বন্দর তলিয়ে গেছে। বন্দরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে নিরবে বসে আছে। মধ্য জোয়ার থেকে ভাটার আগ পর্যন্ত তাদের ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকে। তবে শুকনো মৌসুমে এমন সমস্যা হয় না। বর্ষার মৌসুমে তাদের চলে দুর্বিসহ জীবন।
গাজীপুর ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন বন্দরটি জোয়ারে ভাসছে এবং ভাটায় শুকাচ্ছে। জোয়ার-ভাটার সাথে লড়াই করেই ব্যবসা ও বসবাস করতে হয়। এই পুরাতন বন্দরটি রক্ষায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবী জানাই।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ঐহিত্যবাহী গাজীপুর বন্দরকে রক্ষায় শহর রক্ষা বাঁধ প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রত শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর বন্দরকে রক্ষায় শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় এনে প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো, মজিবুর রহমান বলেন, গাজীপুর বন্দরের শতশত মানুষ ও ব্যবসায়ীদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। দ্রুত এ বন্দরটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাই।
এইচকেআর
