ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

Motobad news

সুগন্ধা বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি, ১৫ গ্রাম প্লাবিত

সুগন্ধা বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি, ১৫ গ্রাম প্লাবিত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান, ধানসিঁড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি  পেয়েছে। বুধবার সকালে সুগন্ধা-বিষখালীর পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরের জনপদ ও চরঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

এতে রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া, নিজামিয়া, পালট, বাদুরতলা, নলছিটির নাচনমহল, ভবানিপুর, ইসলামপুর, হদুয়া, কাঁঠালিয়ার আমুয়া, পাটিকালঘাটাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৫টি  গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীর বেশিরভাগ এলাকায় বেরিবাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমনের বীজতলা ও রোপা আমন দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলি গেছে। এছাড়াও পানের বরজ ও লতা কৃষির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা। এদিকে লঘুচাপের ফলে সকাল থেকে থেমে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে জেলার চার উপজেলাতেই। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। অনেকেই জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হতে পারছেন না। ছাতা নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষদের রাস্তায় দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে শহরে যানবাহনও চালাচল কম ছিল। 

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, জেলার নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টেমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এই মুহুতে বন্যার কোন আশংকা নেই। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কৃষির কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলেও ধারণা করছি। তবে পানি না কমলে ক্ষতির আশংকা আছে বলেও জানান তিনি। 


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন