কাঠালিয়ায় ইউএনও অফিসের চালকের কান্ড!


ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের গাড়ী চালক মো. সোহরাফ হোসেন ২০১২ সনে কাঠালিয়ায় যোগদান করে ১২ বছর পার করছে চাকুরি জিবনে। যোগদানের পর থেকে কাঠালিয়া বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে তিনি প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন দোকান দারের কাছ থেকে লক্ষাদিক টাকার বাজার ও মালামাল নিয়ে টাকা না দেয়ার অভিযোগ দোকান মালিক ও ব্যাবসায়ীর।
কাঠালিয়া ব্যাবসায়ী রহমাত উল্লাহ (মুদি দোকান) বলেন. ২০১৭ সনে আমার দোকান থেকে ড্রাইবার সোহারফ ১৭হাজার ৫০ টাকা বাকি নেয়। আজ ৫ বছর দরে টাকা চাই কিন্তু দেননি। বরং আমাকে হুমকি দেয়ে বেশি তাগিদা দিলে মোবাইল কোটে জরিমানা করা হবে। তার ভয়ে ইউএনও স্যারকে বলিনি।
হতদারিদ্র হোটেল ব্যাবসায়ী মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার দোকান থেকে বিভিন্ন সময় স্যারদের জন্য খাবার নিতেন আমি ১৫ হাজার টাকা পেতাম এর মধ্য ২ হাজার টাকা দিয়েছেন। বারবার তাগিদা দিলে ৫ বছরে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় । তিনি বলেন আমার দোকান এখন বন্ধ হওয়ার পথে। অপর এক ওষুধ ব্যাবসায়ী হাওলাদার মেডিকেল হলের প্রোপাইটার মো. সাহলেক হাওলাদার বলেন, ৫/৬ বছর আগে ওষুধ নিয়েছে দেড় হাজার টাকার। পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ওয়াদা করেন।
নাম প্রকাশের শর্তে একাদিক ব্যবসায়ি বলেন, ২/৪ শত টাকার খুচরা বাজার নিয়ে গেছে বহুবার টাকা চাইলে অফিস থেকে খারাপ ব্যবহার করে বেড় করে দিতেন। এমন কি সরকারি মালামাল তার বাসায় ব্যবহার করে। এবং সরকারি গাছ তার বাসায় এখনো আছে।
এই বিষয় অভিযুক্ত ড্রাইবার সোহরাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে যারা দেখতে পারে না তারা আমাকে নিয়ে এই সব কথা বলছে। যা কোন প্রকার সত্য না। আমি এই রকম কোন কাজ করিনি।
এই বিষয় কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি নতুন যোগদান করছি মাত্র, কোন অভিযোগ পাইনি। তবে কোন লিখিত অভিযোগ কারো কাছ থেকে পেলে আমি সত্যতা যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিবো।
আসাদুজ্জামান সোহাগ/এইচকেআর
