রাঙ্গাবালীতে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে সুরাইয়া আক্তার নামের এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআণ্ডা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুরাইয়া আক্তার ঐ গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে।
জানা যায়, পাঁচ মাস আগে একই গ্রামের সালেক আকনের ছেলে সোহাগ আকনের (২৮) সাথে সুরাইয়ার বিয়ে হয়। পারিবারিক সিদ্ধান্তের এ বিয়েতে সুরাইয়া রাজি ছিল না। বিয়ের পরে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় চলছিল বাবা-মায়ের বকাঝকা।
স্থানীয়রা জানায়, সুরাইয়াকে বিয়ে করে সোহাগ। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম স্ত্রীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। নানা কারণে সোহাগ ও সুরাইয়ার বনিবনা হচ্ছিল না। তাই বাবার বাড়িতেই থাকছিল সুরাইয়া।
স্থানীয়রা আরো জানায়, স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই সুরাইয়ার সাথে তার বাবা-মায়ের কথা-কাটাকাটি হতো। বৃহস্পতিবারও একই কারণে সুরাইয়ার সাথে তার মা তাসলিমা বেগমের ঝগড়া হয়। এরপর বিকেলে সুরাইয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় ঘরের ভেতর।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সুরাইয়ার বাবার বাড়ি চরমোন্তাজের চরআণ্ডা গ্রাম থেকে এক মেয়ের লাশ উদ্ধার করে চরমোন্তাজ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে সুরাইয়া তাদের বসতঘরের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি তার পরিবারের।
নিহত সুরাইয়ার খালা জেসমিন বেগম বলেন, ‘মেয়েরে বিয়া দিছে। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে। তাই মেয়ের পছন্দ মতো ছিল না। মেয়ে বার বার বলছে আমারে ওই জায়গায় বিয়ে দিলে আমি মরে যাব। আমরা বোন-দুলাভাইরে অনেক বুঝাইছি। কিন্তু কোন বুঝে কাজ হয় নাই। এখন যদি গলায় ফাঁস দিয়াও মইরা (মরে) থাকে তাওতো তাদের কারণে মরছে।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, নিহত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
এইচকেআর
