বিএনপির হয়ে নির্বাচন করার পর থেকেই ভবনটি ভাঙার পরিকল্পনা: রনি

স্থানীয় প্রশাসন বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ায় পর পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার পর থেকে আমার এ ভবন ভেঙ্গে ফেলার পরিকল্পনা শুরু হয়। মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম।
উচ্ছেদ অভিযানে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ও গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম শওকত আনোয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গোলাম মাওলা রনি ২০০৭-০৮ অর্থবছরে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজারে শর্তসাপেক্ষে ৫ শতাংশ সরকারি জমি বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন। তার নিজের নামে, স্ত্রী কামরুন নাহার রুনু, বাবা শামসুদ্দিন মুন্সী ও মা মনোয়ারা বেগমের নামে এ জমি বন্দোবস্ত নেন।
এ বিষয়ে গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ আবেদনই করিনি, তাহলে আমাদের নামে বন্দোবস্ত কেস আসলো কীভাবে? আর প্রশাসন বলছে, আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন এ বন্দোবস্ত নিয়ে এ পাকা ভবন করেছি। অথচ এখানে পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে ২০০১ সালের দিকে।
কীভাবে এখানে ভবন নির্মিত হলো সে বিষয়ে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, মূলত আমার বাবা ১৯৬০ সালের দিকে উলানিয়া এলাকার ওই জমিতে বাড়ি করেন এবং ২০০১ সালে পাকা ভবন করেন। ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার পর থেকে আমার এ ভবন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা শুরু হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি উচ্চ আদালতে রিট করি। যার শুনানি প্রক্রিয়াধীন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হব।
তবে ভবনটি ভাঙার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ থাকার কথা অস্বীকার করেছেন উচ্ছেদ অভিযানের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, সরকারি জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে এটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে কোনো বিশেষ ব্যক্তির স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে না। উলানিয়া বাজারে অন্তত ২০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
এএজে
