ঈদের তৃতীয় দিনেও কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল


দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত সাগরকন্যাখ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় এবারের ঈদের ছুটিতে কানায় কানায় পূর্ণ এই সৈকত।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখর চারপাশ। ছবি তোলা, বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড় করে ও আড্ডা দিয়ে ছুটি উপভোগে ব্যস্ত পর্যটকরা। এছাড়া পর্যটকের আগমনে এখানকার আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের ব্যবসায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শাওন বলেন, এই প্রথম কুয়াকাটায় এসেছি। অনেক লোক দেখে ভালো লাগছে। বেশ আনন্দ উল্লাস করছি।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভালো সাড়া মিলেছে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভালো বুকিং পেয়েছি আমরা। তবে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা এসে অনেকেই একদিনে চলে যাচ্ছেন। যদি এখানে আরও কিছু বিনোদনের স্থান বাড়ানো যেত তাহলে পর্যটকরা দু-তিনদিন কুয়াকাটায় অবস্থান করতেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এই মৌসুমে এত পর্যটকের সাধারণত দেখা মেলে না। পদ্মা সেতুর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু ও পর্যটনকেন্দ্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে কারণে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো এই কুয়াকাটা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হোটেল-মোটেলগুলোতে ধারণক্ষমতা ১৫-২০ হাজার। আগামী শীত মৌসুমের আগে যদি এই ধারণক্ষমতা না বাড়ানো যায় তাহলে বড় ধরনের একটি সংকট দেখা দিতে পারে।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন পয়েন্টে পোশাক ও সাদা পোশাকে কয়েকটি টিম কাজ করছে। তাদের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিমও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
এএজে
