বরগুনা থেকে ঢাকা ফিরছেন মানুষ, যাত্রী কম লঞ্চে

ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে রাজধানীতে ফিরে যাচ্ছেন বরগুনায় আসা কর্মজীবীরা। ঈদের আগে ঢাকা-বরগুনা নৌরুটে লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী দেখা গেলেও এখন চিত্র পুরোটাই ভিন্ন।
বরগুনার লঞ্চ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঈদ পরবর্তী সময় হলেও মানুষের কোনো চাপ নেই বরগুনা লঞ্চ ঘাটে। প্রতিদিন দুটি লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রীর চাপ না থাকায় আজ একটি লঞ্চ বিকেল ৪টায় রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বরগুনা থেকে শাহরুখ ২ ও পুবালী ১ লঞ্চদুটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রী না থাকায় শুধুমাত্র শাহরুখ ২ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ইদ পরবর্তী ট্রিপ হলেও লঞ্চে তেমন যাত্রী চোখে পড়েনি। কেবিনে কিছু যাত্রী থাকলেও ডেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যায়গা ফাঁকা রয়েছে।
সাকিব মাহমুদ নামে শহরুখ ২ লঞ্চের এক যাত্রী বলেন, রমজানের ঈদেও বাড়িতে এসেছি, যাওয়ার সময় পা ফেলার যায়গা ছিল না লঞ্চে। তাই এবার দুপুরে এসেই লঞ্চে বসে আছি। কিন্তু মানুষের কোনো চাপ নেই। ডেকে যায়গা সব খালি পড়ে আছে। আমি মনে করি পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় নৌপথে যাত্রী কমছে।
আরেক যাত্রী মিজানুর রহমান পলাশ বলেন, মানুষ না ঠেকে গেলে এখন আর লঞ্চে চড়ে না। বাসে আমার সমস্যা হয়, তাই লঞ্চই আমার ভরসা। তবে আজ লঞ্চে তেমন চাপ দেখছি না। ব্যাপক জায়গা খালি আছে। অন্যান্য ঈদে সকালে এসে লঞ্চে যায়গা নিয়ে বসে থাকতে হতো। কিন্তু আজকের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। ঈদ মৌসুমে এমনটা হওয়ার একটাই কারণ, তা হলো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এখন সড়কপথে যাতায়াত করছে, তাই লঞ্চে যাত্রী কম বলে সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে এমকে শিপিং লাইন্সের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, আমাদের দুটি লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও একটি লঞ্চ সদর ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
পদ্মাসেতু হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এখন সড়কপথে চলাচল করে। তাই তুলনামূলক যাত্রী খুবই কম, যাত্রী না থাকায় অপর লঞ্চটি ছাড়া হয়নি। হয়ত ২-১ দিনে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
এএজে
