লঞ্চের চাপায় বরগুনার রুশিয়ার মৃত্যু


ঈদ করতে বোনের সাথে রুশিয়া আক্তার (৫০) বাড়ি ফিরেছেন ঠিকই, তবে জীবিত নয় এবার তিনি ফিরেছেন প্রাণহীন নিথর দেহে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী রুশিয়া আক্তার একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। শুক্রবার ঈদের ছুটিতে তার ছোট বোন মোর্শেদাকে নিয়ে সদরঘাট থেকে আমতলীর লঞ্চ না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চে উঠতে যান রুশিয়া।
সেখানেই গলাচিপাগামী একটি লঞ্চটি রুশিয়াকে চাপা দেয়, এতে গুরুতর আহত হন রুশিয়া। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রুশিয়া আক্তারের মেয়ের জামাতা হারুন অর-রশিদ বলেন, ‘আমার শ্বাশুড়ী ও তার ছোটবোন ফতুল্লা থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চে উঠতে গেলে দ্রুত পাশ থেকে এমভি সাব্বির-২ নামের একটি লঞ্চ তাকে চাপা দিলে তিনি মারা যান।’
শনিবার জানাজা শেষে রুশিয়াকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান হারুন। দুর্ঘটনার পর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের খোঁজ নেয়নি বলেও তিনি জানান।
আরপাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহলী পারভীন আজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রুশিয়া আক্তার একজন গার্মেন্টস শিল্পী ছিল। এভাবে কোন মৃত্যু আমাদের কাম্য নয়। সরকারের নিকট দাবি করছি, লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত রুশিয়ার পরিবারকে যেন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এইচকেআর
