গরুতে সয়লাব আমতলীতে কোরবানির পশুর হাট


রাত পোহালেই ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলীতে শেষ দিন উপজেলার চুনাখালী গরুর হাটটি সকাল থেকেই দেশীয় গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে। ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। বিক্রেতারা দাম সহনীয় বললেও ক্রেতারা বলছেন বিক্রেতার দাম অনেক বেশী চাচ্ছে।
সরেজমিনে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে চুনাখালী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট, বড় ও মাঝারী সাইজের দেশীয় গরুতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। বেঁচা বিক্রিও মোটামুটি। তবে বিকেলে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশাবাদী হাট পরিচালনা কমিটির।
আমতলী প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমতলী উপজেলায় ৭ হাজার ৮২৫টি কোরবাণীর পশুর চাহিদার বিপরীতে উপজেলার ২২১টি খামারে ৮ হাজার ২১৬টি পশু রয়েছে। এরমধ্যে ৫ হাজার ৯৩৮ টি গরু, ৫৫১টি মহিষ ও ২২৭৮টি ছাগল রয়েছে। কোরবাণীর চাহিদা মিটিয়ে ৩৯১টি পশু উদ্ধৃত্ত¡ থাকবে।
কেওয়াবুনিয়া গ্রামের বিক্রেতা মো. নাসির মিয়া বলেন, এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করেছি। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে চুনাখালী হাটে গরুর দাম কিছুটা কম। যেহেতু কালকে কোরবাণী তাই বিক্রি করে দিয়েছি।
অপর বিক্রেতা সোহরাফ ব্যাপারী বলেন, সকালে তেমন বেচা বিক্রি না হলেও বিকেলে বেচা বিক্রি বাড়বে। তিনি আরো বলেন, হাটে ছোট গরুর চাহিদা অনেক বেশী।
ক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, যেহেতু আগামীকাল ঈদুল আযহা তাই যেভাবেই হোক কোরবাণী দেওয়ার জন্য আজ গরু কিনতেই হবে। এ জন্য পটুয়াখালী থেকে গরু কিনতে আমতলীর চুনাখালী বাজারে আসছে।
অপর ক্রেতা হারুন হাওলাদার, নজরুল খান, দেলোয়ার খলিফা, বাবুল হাওলাদার, নিজাম পাহলান, জালাল গাজী ও দুলাল মিয়া বলেন, হাটে গরুতে সয়লাব এবং ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু কেউ গরু কিনছেন না। সবাই দাম বলে চলে যাচ্ছেন। বিকেলে দাম কমতে পারে তখন তারা গরু কিনবে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে কোরবানীর পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌছতে পারে। জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ গরুর হাটে দায়িত্ব পালন করছে। গরু মোটাতাজাকরন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশু পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমও রয়েছে। যাতে কোন রোগাক্রান্ত পশু বাজারে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে মেডিকেল টিম বিক্রিত গরু পরীক্ষা নিরিক্ষা করছেন।
চুনাখালী গরুর বাজারের ইজারাদার রাশাওয়ান মাতুব্বর বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আসতে শুরু করছে। দুপুরের মধ্যে বাজারটিতে গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে। ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। হাট বেঁচা বিক্রিও মোটামুটি ভালো। যেহেতু আজকেই কোরবাণীর শেষ হাট তাই বিকেলে বেঁচা বিক্রি আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।
এইচকেআর
