৮ দিনেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্রীর, আদালতে মামলা


প্রবাসীর স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগের ৮ দিনেও ওই ছাত্রীর কোনো সন্ধান মেলেনি। স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪ জুলাই বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আনিসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে রুহুল আমীন মুন্সীর ছেলে মো. মিরাজ মুন্সী (২০), বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের ছেলে মো. শহিদুল সিকদার (৩৫) ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগম।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাদী দুটি সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছে। তার মেয়ে আমতলী দক্ষিণ রাওঘা নুর আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। আসামি মিরাজ মুন্সী স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদীর মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। নাবালিকা মেয়ে তার মায়ের কাছে বলে দেয়। এতে মিরাজ মুন্সী প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ জুন সকাল ৯টার দিকে বাদীর মেয়ে আমতলী থানাধীন হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা নুর আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ঘটনা স্থল রাওঘা ইটের সলিং রাস্তায় পৌঁছলে আসামি মিরাজ স্কুল ছাত্রীকে তার সহযোগী নিয়ে জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে। অপহরণ করে মিরাজের দুলাভাই সহিদুল সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এরপর থেকে তার মেয়ের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পরে ২৯ জুন আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। তবে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এএজে
