ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়

বর্ষায় ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বর্ষাকালে প্রকৃতি আরো সবুজ, সতেজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। কিন্তু এই মৌসুম আমাদের পায়ে বিভিন্ন সংক্রমণেরও ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। 

বর্ষাকালে নোংরা পানির সংস্পর্শ, আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি ও ঘরের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পায়ে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আঙুলের ফাঁক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। পায়ে ইতিমধ্যে কোনো সংক্রমণ থাকলে এ সময় অবস্থা আরো শোচনীয় হতে পারে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় অবশ্যই পায়ের যত্ন নিতে হবে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা মোটেই অবহেলা করতে পারবেন না। এখানে বৃষ্টির দিনগুলোতে পায়ের সুস্থতায় করণীয় উল্লেখ করা হলো।

* খালি পায়ে হাঁটা নয়: বৃষ্টিতে খালি পায়ে হাঁটা আনন্দদায়ক হতে পারে, কিন্তু এটা পায়ে সমস্যা বয়ে আনতে পারে। তাই পায়ের সুস্থতা বজায় রাখতে খালি পায়ে বাইরে বের হবেন না। ঘরেও স্যান্ডাল পরা ভালো, যদি নিচতলায় বসবাস করেন।বাইরে যেতে জুতা পরার আগে পায়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ছিটাতে পারেন। এতে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

* পা শুষ্ক রাখুন: ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পা সহজেই ছত্রাকের শিকার হতে পারে। বাইর থেকে এসে যত দ্রুত সম্ভব পা ধুয়ে মুছে নিন। বর্ষায় এন্টিসেপ্টিক দিয়ে পা ধোয়াই ভালো।

* ময়েশ্চারাইজারের অতি ব্যবহার নয়: ত্বকের যত্নে শীত ও গ্রীষ্মে আপনি হয়তো ঘনঘন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন, তবে বৃষ্টির দিনগুলোতেও এমনটা করবেন না। বৃষ্টির সময় এমনিতেই পরিবেশ অত্যধিক আর্দ্র থাকে। তাই এসময় দিন-রাতে ঘনঘন ময়েশ্চারাইজিং করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

* হালকা গরম পানিতে পা ভেজান: বৃষ্টির মৌসুমে পায়ের যত্নে কুসুম গরম পানিতে পা ডোবানো সহায়ক হতে পারে।এটাকে আরো কার্যকর করতে লবণ মেশাতে পারেন। এতে করে পায়ে কেবল আরামই পাবেন না, ছত্রাক সংক্রমণও প্রতিরোধ হবে। গরম পানিতে টি ব্যাগ ডুবিয়েও পা ভেজাতে পারেন। কিছুক্ষণ পর পা শুকিয়ে নিন।

* ম্যাসাজ ও স্ক্রাব করুন: পায়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে সমস্যার ঝুঁকি কমে। জলপাই তেল বা নারকেল তেলকে হালকা গরম করে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের মৃতকোষ অপসারণে স্ক্রাব করতে পারেন।এতে পা কোমল ও মসৃণ থাকবে। চিনি/লবণের সঙ্গে বেবি অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাবের পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সারা পায়ে পেস্ট মেখে বৃত্তাকারে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। অতঃপর ঝামা পাথর ত্বকে হালকা ঘষে সাধারণ ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন এবং পা মুছে নিয়ে ফুট ক্রিম লাগাতে পারেন।

* ক্ষত নিয়ে বাইরে নয়: অন্য মৌসুমের তুলনায় বর্ষাকালে ক্ষত শুকাতে বেশি সময় লাগতে পারে। অবহেলায় সংক্রমণও সৃষ্টি হতে পারে। তাই পায়ে উন্মুক্ত ক্ষত থাকলে বৃষ্টির সময় বাইরে বের হবেন না, কারণ নোংরা পানির ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু ক্ষতকে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। পায়ের সুরক্ষায় কর্ম থেকে ছুটি নিয়ে নিন। ছুটি না পেলে সর্বোচ্চ সতর্কতা সহকারে বের হতে হবে, যেমন- ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষত ঢেকে নিন।

* রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করুন: বর্ষাকালে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অন্য সময়ের তুলনায় বেশি, বিশেষ করে পায়ে কাটাছেঁড়া বা সংক্রমণ থাকলে। অন্যথায় এটা এমন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যে পা কেটে ফেলা ছাড়া উপায় থাকবে না। পায়ের ক্ষত না শুকানো বা সংক্রমণ সেরে না ওঠা পর্যন্ত ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে নোংরা পানি বা কাদামাটির সংস্পর্শ কখনোই ভালো কিছু নয়।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন