পাথরঘাটায় গণধর্ষণের শিকার কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা


বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছর বয়সি এক কিশোরী। এতে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি গ্রহণ করে পাথরঘাটা থানার ওসিকে এজাহার রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হচ্ছে- পাথরঘাটা উপজেলার জালিয়াঘাটা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. হেলাল (২৭) ও হেলালের বন্ধু দেলোয়ার মোল্লার ছেলে মো. নয়ন (২৮)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাবা রিকশাচালক এবং মা দোকানে চা বিক্রি করেন। বাড়িতে বৃদ্ধ অন্ধ দাদি থাকেন। ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হলে আসামিরা তাকে পথে ঘাটে উত্যক্ত করত। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ওই কিশোরী পানি আনতে যায়। এ সময় পথে আসামি হেলাল শিশুটির গলায় চাকু ধরে খুনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে যায়। ওই কিশোরী হেলালের ঘরে নয়নকে দেখতে পায়। সেখানে প্রথমে হেলাল ও পরে নয়ন তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার দিলে হেলাল ও নয়ন শিশুটিকে খুনের ভয় দেখায়। এমনকি এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে। এরপরও কয়েকবার ওই আসামিরা শিশুকে খুনের ভয় দেখিয়ে একাধিকার ধর্ষণ করেছে।
ওই ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হতে দেখে আমার স্ত্রী মেয়েকে ২১ জুন জেরা করে। তখন আমার মেয়ে ঘটনার বিষয় তাকে জানায়। ২২ জুন পাথরঘাটা মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি। আমরা নিরুপায় হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করলে চিকিৎসক মেয়েকে পরীক্ষা করে দেখতে পায় আমার মেয়ে ৬ মাস ৮ দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। তারপরও আদালতের নির্দেশ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।
এইচকেআর
