কলাপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর থানার একজন পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও সাত কনেষ্টেবলের ওপর হামলার ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার সকালে মহিপুর থানার এসআই মো. হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ আব্দুল জলিল ঘরামী নামে মামলার প্রধান আসামিকে আটক করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে গত বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শুক্রবার দুপুরে ২ নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। বিষয়টি বিজয়ী প্রার্থী মো.আবুল কোম্পানী মহিপুর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক খলিল নামে একজনকে আটক করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তত তিন শতাধিক নারী পুরুষ আসামি খলিল ঘরামীকে ছিনিয়ে নিতে মহিপুর থানা ঘেরাও করে। পুলিশ তাদের থানা চত্বর ত্যাগের নির্দেশ দিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় এতে এস,আই হালিম, কনেষ্টবেল মিলন, ওবায়দুল, আফজাল, শিলা, নাসরীনসহ ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
শুক্রবার বিকেলে অর্ধশত নারীরা শেখ রাসেল সেতুর উপর অবস্থান ধর্মঘট করলে কুয়াকাটা-বরিশাল রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
মহিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, আসামী ছিনতাই করতে এসে এস,আইসহ পুলিশের ৮ সদস্যর ওপর হামলা করেছে। ইতিমধ্যে হামলার নেতৃত্বদানকারী আবদুল জলিল ঘরামীকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এএজে
