আমতলীতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ


বরগুনার আমতলীতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন পশ্চিম কুকুয়া এলাকার এসহাক মিরার ছেলে মো. শহিদুল মীর।
সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী শহিদুল মীর আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ।
লিখিত বক্তব্যে শহিদুল মীর বলেন তার প্রতিবেশী পূর্ব কুকুয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) গত বছরের ১ ডিসেম্বর বরগুনা বিজ্ঞ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে শহিদুল মীরের পরিবারের ৮ জনের বিরুদ্ধে সিদ্দিক তার নিজের দোকান নিজে ভেঙ্গে (সি আর ৭০/২০২১) একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
সিদ্দিক উক্ত মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করেছে তার কোন ভিত্তি নাই, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। সিদ্দিক মোল্লার সাথে আমাদের জমি মজা নিয়ে বিরোধ আছে। জমি জমার বিরোধকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মারামারির মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী শহিদুল মীর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সরেজমিনে গেলে জানতে পারবেন এই সিদ্দিক মোল্লা এলাকায় মাস্তানি, সন্ত্রাসী, জমি দখল সহ গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হাওয়াই তার কাজ। সিদ্দিক মোল্লা গ্রামের সামান্য কোন ঘটনাকে থানা পুলিশ, কোর্ট কাচারিতে নিয়ে দালালী করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
ঘটনার দিন আজিমপুর বাজারে আমাদের রেকর্ডিও সম্পত্তিতে আমরা কাজ করতে গেলে সিদ্দিক মোল্লা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের মারধর করে। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুদ তালুকদারসহ আজিমপুর বাজারের লোকজন ঘটনা স্থলে এসে সিদ্দিক মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান শালিসীতে বাসার কথা বলে আমাদের মামলা করা থেকে বিরত রাখে। কিন্তু সিদ্দিক মোল্লা গোপনে আমাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলা করে সেই মামলার তদন্ত করান ২০২২ সালের জুন মাসে। শুধু তাই নয় ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য শত-শত মানুষের উপস্থিততে নিজের দোকান নিজেই ভেঙ্গে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী শহিদুল মীর প্রশাসনের কাছে মিথ্যা মামলা তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে সিদ্দিক মোল্লা বলেন,তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শহীদুল মীরের কোন অভিযোগ পাইনাই । অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
