ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

সড়ক উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে আমতলী পৌরসভার দৃশ্যপট 

সড়ক উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে আমতলী পৌরসভার দৃশ্যপট 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলী  পৌরসভার চলমান সড়ক উন্নয়ন, ফুটপাত নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার ফলে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পৌর এলাকার দৃশ্যপট। গুরুত্বপূর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন  প্রকল্পের আওতায় গত কয়েক দিন ধরে একেস্কুল মোড় থেকে বাঁধঘাট চৌরাস্তা পর্যন্ত  ১কিলো: ৩৮০ মিটার লম্বা  ৮ মিটার  প্রশস্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজ শুরু হয়েছে।

এর ফলে উপজেলা শহরে  যোগাযোগব্যবস্থার যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। পাশাপাশি হলদিয়া , চাওড়া আড়পঙ্গাশিয়া, আমতলী সদর  ইউনিয়নের জনগণের  চলাচলের নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই  প্রশস্ত  ফুটপাতে অনায়াসে চলাচল করছে পৌরবাসী। ওই সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের ফলে বর্ষাকালে অপরিসীম ভোগান্তিথেকে মুক্তি পাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার। 

গত বছর পৌর শহরের  বিভিন্ন ওয়ার্ডের  সংযোগ সড়কগুলোর  উন্নয়নকাজ শেষ হয়। এর ফলে পৌরসভার যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে বলে মনে পৌরবাসী। 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা  সংদের সাবেক কমান্ডার  অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সামসুদ্দিন সানু বলেন,  পৌরসভার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ঢাকার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এর ফলে পৌরবাসী দীর্ঘদিনের অসহ্য ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। 

পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা শহিদুল ইসলাম  বলেন, বর্তমান মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহনের  আগে বিশেষ করে বর্ষায় বাজার দিয়ে হাঁটা যেত না। রিকশাওয়ালারা ভাঙা রাস্তার কারণে উপজেলা, খেয়াঘাট লঞ্চ ঘাট যেতে চাইত না। এ উন্নয়ন নিঃসন্দেহে পৌরবাসীকে অনেক সুফল দেবে। 

পৌর শহর  জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় নির্মিত ও নির্মাণাধীন সড়কের মতো সড়ক অনেক বিভাগীয় শহরে নেই। সড়ক, ড্রেনেজ ও ফুটপাত যানজট কমানোর পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 
সমাজসেবক মো. নজরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর অনেক কিছু নির্ভর   করে। বর্তমান উন্নয়ন যে কোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। এর সুফল আমরা প্রতিদিন ভোগ করছি।


পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুল হায়দার  বলেন, যথাযথ তদারকির মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।


আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান  জানান, পৌরসভার এ উন্নয়নকাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন চাহিদাও বাড়ছে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।


পৌরবাসী বহু আশা নিয়ে আমাকে  মেয়র নির্বাচিত করেছেন  পৌরসভার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি যানজট মুক্ত পৌরসভা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। শপথ নেয়ার পর  এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভুর  এমপি মহোদয়ের পরামর্শক্রমে একের পর এক উন্নয়ন কাজ শুর  করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছি। আশা করি আগামী বছরের মধ্যে আমতলী পৌরসভা হবে দক্ষিনাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মডেল পৌরসভায় পরিনত করতে পারবো। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন