ভারতজুড়ে পূজনীয় বরিশালের বড়মা


বড়মা ছিলেন হিন্দুধর্মীয় সংস্কারবাদী আন্দোলন মতুয়া মহাসংঘের প্রধান নেত্রী। তার আসল নাম বীণাপাণি দেবী। তার বড়মা নামটি সার্বজনীন মাতৃত্বকে নির্দেশ করে। তিনি ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ঠাকুরনগরের প্রতিষ্ঠাতা।
বড়মা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বরিশালের জব্দকাঠি গ্রামে ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরের সাথে বিবাহবন্ধে আবদ্ধ হন, যার প্রপিতামহ হলেন মতুয়া মহাসংঘ প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর।
১৯৪৭ সালে ভারতভাগের পর পরিবারের সাথে বড়মা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতুয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি জমায়। তার স্বামীর সাথে মিলে তিনি বাস্তুচ্যুত মতুয়াদের জন্য ঠাকুরনগরে রিফিউজি কলোনি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯০ সালে তার স্বামী প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর মৃত্যুবরণ করলে তিনি মতুয়া মহাসংঘের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি গোটা ভারত জুড়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ প্রচার করেছেন।
২০১০ সালের ১৫ মার্চে বড়মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মতুয়া মহাসংঘের অভিভাবক বলে ঘোষণা করেন।
বড়মার বড় ছেলে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা আসনে ২০১৪ সালে লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মমতা বালা ঠাকুর বনগাঁ থেকে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হন। তার ছোট ছেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।
বড়মা ২০১৯ সালের ৫ মার্চে কলকাতায় মারা যান। ৭ মার্চে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুর পর তার পুত্রবধূ মমতা বালা ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
এসএমএইচ
