যেভাবে পর্বত আরোহনের প্রেমে পড়েন বোরহানউদ্দিনের মুহিত


দুইবার এভারেস্ট জয়ী একমাত্র বাংলাদেশী তিনি। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্ট পর্বত বিজয় এম এ মুহিত বা মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। যিনি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২১ মে এভারেস্ট পর্বত জয় করেন। মুহিত ২০১০ সালে প্রথম এভারেস্ট জয়ের জন্য যান, কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তিনি সেবার ব্যর্থ হন। অবশেষে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের একজন সদস্য হিসেবে এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে আবারও যাত্রা করেন ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে, এবং অবশেষে তিনি সফল হন। তার এই সফলতার খবর, ঢাকাস্থ নেপালের দূতাবাসের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচারণা বিভাগ। এরপর ২০১২ সালের ১৯ মে নেপাল (দক্ষিণ মুখ) দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত এভারেস্ট জয় করেন এম. এ. মুহিত।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি জন্ম তার। বাবা মনোয়ার হোসেন মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগম। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। পরিবারে তারা ৪ বোন ও ৩ ভাই। বড় বোনের নাম জাকিয়া বেগম আঁখি। পুরান ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে এসএসসি (১৯৮৫), নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি (১৯৮৭), এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বি.কম. (১৯৮৯) পাস করেন। পেশা জীবনে তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে বন্ধুদের সাথে সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বন্ধুদের মধ্যে প্রথম ১৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে পর্বতারোহণ নেশায় মগ্ন হন তিনি। সেই নেশাই প্রেরণা দেয় তাকে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ও কালাপাথার ট্রেকিংয়ে অংশ নেন এবং ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন সময় হিমালয়ের চুলু ওয়েস্ট (মে ২০০৭), মেরা (সেপ্টেম্বর ২০০৭), বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলুর (মে ২০০৮), সিংগু, ও লবুজে শৃঙ্গে আরোহণ করেন তিনি।
এভারেস্ট জয়ের আগে মুহিত, এভারেস্ট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ চো ওয়ো (৮,২০১ মিটার) জয় করেন (২০০৯)। বাংলাদেশী পর্বতারোহীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সাফল্য অর্জন করেন বলে জানা যায়। এছাড়াও তিনি দুবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিনডং-এ আরোহণ করেন।
এসএমএইচ
