গরমে স্বস্তি পেতে যা করবেন


দিনের বেলায় প্রখর রোদ্র তাপ আর রাতে ভ্যাপসা গরম। এবার গরমেই শুরুতেই তাপমাত্রা ওষ্ঠাগত জনজীবন। ঘাম খুব বেশি না হলেও অস্বস্তি বাড়ছে গরমে। অতিরিক্ত রোদ ও গরমে হঠাৎ সর্দি লাগার পাশাপাশি দেখাতে দিতে পারে পেটের সমস্যাও। বিশেষ করে গুমোট গরম আর সূর্যের প্রখর তেজে ত্বকের ভাগ শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
তাই এসময় অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে শরীরের ভেতর ও বাহিরের। আনতে হবে কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী পরিবর্তন আনলে এই গরমে পাওয়া যাবে স্বস্তি—
অল্প মসলার খাবার খান
রান্নার সময় খাবারে মসলার পরিমাণ কমিয়ে দিন। এই সময়ে অতিরিক্ত তেল, টক, কিংবা অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাবেন না। মরিচ, আদা, রসুনের পরিমাণ কমিয়ে রান্না করুন। গরমে অল্প মসলায় রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ঠান্ডা পানি পান করুন
শীতের সময়ে হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস থাকলেও, তবে গরমে সে অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। খেতে হবে ঠান্ডা পানি। কারণ এসময় শরীর যত ঠান্ডা রাখা যায় ততই ভালো। মৌরি ও মেথি ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে পান করুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
দিনে নয়, রাতে বেড়ান
বাইরে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে হলে দিনে নয়, সন্ধ্যার পর বের হতে পারেন। সেইসাথে কঠিন ধরনের শরীরচর্চা বাদ দিয়ে হালকা শরীরচর্চা করুন। শরীরচর্চার কারণে যেন খুব বেশি ঘাম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুকি থাকে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
আপনি যদি টাইট এবং সিল্ক জাতীয় কাপড় পরতে অভ্যাস্ত হয়ে থাকেন। তাহলে বন্ধ করতে হবে এই অভ্যাস। গরমে খুব টাইট এবং সিল্ক জাতীয় কাপড়ের জামা পরা বন্ধ করতে হবে। যতটা সম্ভব সুতি এবং সেমি সুতির পোশাক পরুন। টাইট পোশাকের বদলে ঢিলেঢালা পরুন। এতে শরীরের ঘাম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে এবং গরম কম লাগবে।
মাটির পাত্রে খাবার রাখুন
এসময় প্লাস্টিক বা স্টিলের পাত্রের পরিবর্তে খাবার ও পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন মাটির পাত্রে। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। মাটির কলসিতে পানি রাখলে তা ফ্রিজ ছাড়াই আপনাকে ঠান্ডা পানি দেবে।
এসএমএইচ
