ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

ইসরায়েলের কাছে অফিস ধ্বংসের ব্যাখ্যা চেয়েছে গণমাধ্যমগুলো

ইসরায়েলের কাছে অফিস ধ্বংসের ব্যাখ্যা চেয়েছে গণমাধ্যমগুলো
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

গাজা শহরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় গণমাধ্যমের অফিস ধ্বংসের বিষয়ে দেশটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে সংবাদ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এর আগে শনিবার বিমান হামলায় গাজা শহরের একটি ভবন ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল। সেখানে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), আল-জাজিরাসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের অফিস ছিলো। খবর ব্লুমবার্গ।

ইসরায়েলের হামলার আগাম সতর্কতা হিসেবে আল-জালা নামক টাওয়ারের ১২ তলা থেকে নিরাপদে সরে আসেন এপির সাংবাদিক ও অন্যান্যরা। এর প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনটি ভারী মিসাইল ভবনটিতে আঘাত হানে। এতে হামাস ও ইসারায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের সংবাদ প্রচার ব্যাহত হয়। 

এদিকে, দু-পক্ষের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গত সোমবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৪৫ জন ফিলিস্তিনি এবং ৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

এপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী গ্যারি প্রুইট বলেন, আজকের (শনিবার) এই ঘটনার কারণে গাজায় যা ঘটেছে তার থেকেও অনেক কম জানবে বিশ্ব। তিনি বলেন, আমেরিকার সংবাদ সংস্থাটি ইসরায়েল সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আসছিল।


আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তাফা সোয়াগ এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ এবং সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করার সুস্পষ্ট চেষ্টা বলে দাবি করেছেন।  গাজায় ধ্বংস হওয়া ভবনটিতে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনটির কার্যালয় ছিলো। 

ভিয়েনাভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক বারবারা ট্রিয়নফি বলেন, সংবাদ সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি সশস্ত্র সংঘাতের সময়েও তেমনটা হয় না। এটি মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক শিষ্টাচারে সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

তবে, এর জবাবে ইসারায়েল বলছে, তাদের সেনারা জানিয়েছে ভবনটির অভ্যন্তরে হামাস তাদের কার্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। সাংবাদিকদেরকে তারা মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাদের দাবির পক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।


টিএইচএ/
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন