ঈদের জামাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে দোআ


বৈশিক মহামারির মধ্যে এবার বরিশালে অনুষ্টিত হলো ঈদের নামাজ। মহামারি করোনার কারনে এবারে নগরের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি বরিশালে। তবে নগরের প্রায় ৫ শত মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর মুসল্লীদের কথা বিবেচেনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে করে বেশিরভাগ মসজিদেই একের অধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুসল্লীরাও ঈদ জামাতে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি বেশি সচেতন ছিলেন।
বরিশালে ঈদের জামাতে করোনা মহামারি থেকে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সবাইকে হেফাজত ও মুক্তির জন্য আল্লাহ’র কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য বিশেষ দোআ করা হয়েছে। সেইসাথে হিংসা-বিদ্বেশ, হানাহানি বন্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি স্থাপন, জীবনের পাপ মোচন ও রমজানের সিয়াম-সাধনা কবুলের প্রার্থনা জানিয়ে দোআ-মোনাজাত করা হয়েছে।
বরিশাল কালেক্টরেট জামে মসজিদে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক থেকে প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৪ মে)সকাল ৮টার জামাতে নামাজ আদায় করেন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল ঈদের শুভেচ্ছা বক্তব্য দেয়ার সময় বলেন, করোনার প্রভাবে প্রতিদিন বিশ্বে সাড়ে চার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন একটি সময়ে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করছি।
এসময় তিনি ভারত থেকে আসা কোন নাগরিক থাকলে তা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলেন। তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারাইন্টাইনে রাখার সব ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। অপরদিকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষা বজায় রাখার আহবান করেন।
সকাল ৮ টা ছাড়াও বরিশাল নগরের কালক্টরের জামে মসজিদে সকাল ৯টা ও ১০টায়, চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায়, হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কসাই মসজিদে সকাল ৯টায় ও ১০টায়, সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৯টা ও ১০টায়, ল’ কলেজ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায়, পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়, নূরিয়া স্কুল জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টা এবং জেলখানা মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিতহয়।
বরিশালে ঈদের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে। বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরীফে।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৮ টায় ঝালকাঠীর কায়েদ সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত এনএস কামিল মাদ্রাসায়, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফে সকাল ৮টায় এবং একইসময়ে বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বেশিরভাগ মসজিদেই ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে মহামারি করোনার কারনে মুসল্লীদের একে অপরের সাথে কোলাকুলি বা করমর্দন করতে দেখা যায়নি। আর ঈদ জামাতকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও নিতে দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
কে.আর
