সূর্যমুখী ফুলের চাষে স্বাবলম্বী কৃষক


সকালে ঘুম থেকে উঠেই যেমন দেখা যায় সূর্য পূর্ব আকাশে জ্বলজ্বল করে উঁকি দিচ্ছে। ঠিক তখনই মনে হয় যেন সূর্যের দিকে তাকিয়ে উঁকি দিচ্ছে হাজার হাজার অন্য এক সূর্য।
এ আর কিছুই নয়, এ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। এমনই অপরূপ চোখ ধাঁধানো দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ঝালকাঠির রাজাপুর বিস্তির্ণ ফসলী জমিতে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের অপরুপ দৃশ্যে যেন হলুদ বরণ সাজে সেজেছে প্রকৃতি।
যতদূর চোখ যায়, সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মাঠের পর মাঠ ফুটে থাকা সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে কৃষকের চোখে-মুখে স্বপ্ন পূরণের আশা দেখা যাচ্ছে।
এ বছর উচ্চফলনশীল আরডিএস ২৭৫, হাইসান-৩৩ ও বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
আমাদের দেশে সূর্যমুখী তেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কোলেস্টেরল মুক্ত এ তেল উৎপাদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও এর ব্যপক চাষাবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজাপুরে বিগত বছরগুলোর মতো এবারেও সূর্যমুখীর চাষাবাদ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অধিকতর লাভবান হওয়ার আশায় স্বপ্ন বুনছেন সূর্যমুখী চাষীরা।
কৃষি অফিসার মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, এ বছর রাজাপুর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমরা চাষীদের কে সরকারি ভাবে বীজ, সার, ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি। আশাকরি ভালো ফলন এবং চাষীরা বেশ লাভবান হবে।
কোলেস্টেরল মুক্ত সূর্যমুখী তেল উৎপাদনে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে এবং তেল উৎপাদনে বাংলাদেশ হবে স্বয়ং সম্পূর্ণ। এমনটি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন রাজাপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
মোঃ সাব্বির হোসাইন/ রাজাপুর
এইচকেআর
