বাচ্চু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তরুনী


ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিচার চেয়ে এখন পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলার করার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন বেপরোয়া হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই তরুণীকে এলাকা ছাড়া করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এ সময় তার মা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণী বলেন, আমি ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার সরই গ্রামের বাসিন্দা। আমার বাবা পেশায় একজন কৃষক। একই উপজেলার ৩ নম্বর কুলকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) আমাদের পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাধে চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনি আমার পরিবারের সম্মতিতে আমাকে ঢাকায় দক্ষিণ বনশ্রীর ই ব্ল¬কের ৯/২ নম্বর রোডের ১২৩ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে উঠান। ওই বাড়িতে মোরশেদা নামের এক নারী ছিলেন।
এই মোরশেদার সহায়তায় চেয়ারম্যান ওই দিনই আমাকে ধর্ষণ করেন। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা ধর্ষণের দৃশ্য অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর কয়েকবার ধর্ষণ করলে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে চেয়ারম্যান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটায়। এরপর দিনের পর দিন বিয়ে না করেই চেয়ারম্যানের অত্যাচার বেড়ে যায়। একপর্যায়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমি বাদি হয়ে খিলগাঁও থানায় বাচ্চু চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী মোরশেদাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি।
এরপর থেকে বাচ্চু চেয়ারম্যান আরো বেপরোয়া হয়ে যান। মামলার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় এখন তিনি এবং তার সহযোগীরা আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছেন। আসামিদের ভয়ে উল্টো আমার পরিবারের সদস্যরা সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি না করা হলে যেকোনো সময় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের তিনি মেরে ফেলতে পারেন বলে আশা করছি। এ ব্যপারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের সহায়তা কামনা করেন তিনি। এ ব্যপারে জানতে চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
এইচকেআর
