ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

কালবৈশাখী ঝড়: গাইবান্ধায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০

কালবৈশাখী ঝড়: গাইবান্ধায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 


চৈত্রের শেষে গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। গত রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার সদর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ঝড়ে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা সদরে চারজন, পলাশবাড়ীতে তিনজন, ফুলছড়িতে দুইজন এবং সুন্দরগঞ্জে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

এখন পর্যন্ত ঝড়ে মারা গেছেন- পলাশবাড়ী উপজেলার বাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আবদুল গোফফার (৩৮), কুমেদপুর গ্রামের আবদুল কাদের মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম (৬৪), সদর উপজেলার ঢনঢনিপাড়া গামের মিঠু মিয়ার স্ত্রী সাহারা বেগম (৪১), হরিণসিংগা গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে মুনির (৫), আরিফ খান বাসুদেবপুর গ্রামের রিজু মিয়ার স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২৮), রিফাইতপুর গ্রামের খগেন্দ্র চন্দ্রের স্ত্রী জোৎস্না রানী (৫৫), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের বিশু মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৬), রেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৬৫) এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪৭)।


তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। অধিকাংশের মৃত্যু ঝড়ে গাছচাপায় হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয় পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, ‘ঝড়ে ঘরের চালের উপর গাছ ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।’


 এদিকে ঝড়ে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক খুুঁটি ভেঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যে জেলা শহরের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক।

 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন