চুয়াডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শুকুর আলী ও আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু সুলতানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উভয়পক্ষের নির্বাচনি অফিস। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল, ও মাইক্রোবাস। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৮টা ও ৯টার দিকে উপজেলার তিতুদহ ও গিরিশনগর গ্রামে পৃথকভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই তিতুদহ ক্যাম্প ও দর্শনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুরো ইউনিয়নজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আহতরা হলেন, নৌকা প্রতিকের কর্মী তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার রাজ্জাক হোসেনের ছেলে হাসান আলী (১৮), একই এলাকার মৃত রহিম বিশ্বাসের ছেলে মানিক (৩৫), তিতুদহ গ্রামের মাঝেরপাড়ার বজলুর ছেলে শাহিন (২৫) ও বড়শলুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মানিক (৩৫), এবং আনারস প্রতিকের কর্মী নুরুল্লাপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তসলিম উদ্দিন (২২), একই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মিঠু (২২), শুকুর মোহাম্মদের ছেলে লতিফ (২৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে রিপন (৪৫)। তাদের উদ্ধার করে গতরাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে আনারস প্রতিকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু সুলতান বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। বহিরাগতদের এনে শুক্রবার রাতে গিরিশনগর বাজার ও তিতুদহ গ্রামে আমার দু'টি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া তারা একটি মোটরসাইকেল ও নির্বাচনি প্রচার কাজে ব্যবহৃত মাইকসেট ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে আমার কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হয়।'
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শুকুর আলী বলেন, 'আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী শুক্রবার রাতে আমার তিনটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে। তারা নৌকা প্রতিক পুড়িয়ে ফেলে। তাদের হামলায় আমার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া তারা শোডাউন দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়।'
এমবি
