করোনার প্রভাবে সুন্দরগঞ্জে বেড়েছে সবজীর দাম


গাইবান্ধা : চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যে সরকার কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সবজীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দ্রব্যাদির দাম বাড়ানো হয়েছে।
প্রশাসনের নিকট সাধারণ ক্রেতাগণ বাজার মনিটরিং করার দাবি জানিয়েছেন।
বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ হতে ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০-৫০ টাকা, কপি ৩০-৪০ টাকা, সিম ৩০-৫০ টাকা, গাঁজর ৪০-৫০ টাকা, টমেটে ৩০ হতে ৫০ টাকা, শশা ৪০-৫০ টাকা, মরিচ ৪০-৫০ টাকা. পেঁয়াজ ৩৫-৫০ টাকা, রসুন ৫০-৬০টাকা, আদা ১০০ হতে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা অজিত কুমার রায় জানান, বিগত দিনে দেখেছি ভরা মৌসুমে আলু, বেগুন, মরিচ, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম এত ছিল না। এর কারণ করোনার প্রভাব।
বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হাই জানান, মৌসুমের সময় প্রতিটি জিনিসের দাম আরও কম হওয়ার কথা। কিন্তু বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বেলকা চরের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, দিনমজুর, সার, হালচাষ, কীর্টনাশকের দাম দ্বিগুন হাবে বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, আগের চেয়ে উৎপাদন খরচ একটু বেড়ে গেছে। সে কারণে কৃষকরা লোকসান না গুনতে একটু চড়া দামে দ্রব্যাদি বিক্রি করছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, অতিদ্রুত বাজার মনিটরিং করার ব্যববস্থা করা হবে।
হযরত বেল্লাল/এসএমএইচ
