ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

বাঁশেরপুলের কালভার্টটি এখন দুর্ভোগের কাঁটা

 বাঁশেরপুলের কালভার্টটি এখন দুর্ভোগের কাঁটা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হরিহারা গ্রামের বাঁশেরপুলের কালভার্ট দিয়ে যাতায়াত করে লাখো মানুষ। শুকনো মৌসুমে হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল ব্যবহার করে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টিতে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। 

এদিকে কালভার্ট ব্যবহার করতে না পারায় মালামাল নিয়ে চলাচলকারী ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে উঠতে হচ্ছে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে। এছাড়া দেবে যাওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

এই পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন ভ্যানচালক নূর হোসেন। তিনি বলেন, খালি ভ্যান নিয়ে কালভার্টের ওপর দিয়ে আসাও কষ্টকর। এমনভাবে দেবে গেছে ভ্যান নামালে উল্টে পড়ার উপক্রম হয়। কোনো রকমে অন্যের সহায়তা নিয়ে ভ্যান নামিয়ে উঠাতে হয়। 

সোনারায় ইউনিয়নের ডুগডুগি এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কালভার্টটি। তারপরও চলাচল করা যেত। কিন্তু কিছু দিন হলো ভেঙে দেবে যাওয়ায় আর চলাচল করা যায় না। হেঁটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। 

স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ দাস বলেন, এখান থেকে কিছুটা দূরে স্কুল রয়েছে। বৃষ্টি হলে জমাট হয়ে থাকে পানি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে পারে না। মালামাল নিয়ে ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাকগুলোকে চার কিলোমিটার ঘুরে নীলফামারী-ডোমার প্রধান সড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে হরিণচড়া বাজারে যাতায়াতকারীদের যেন বিড়ম্বনার শেষ নেই।
 
স্থানীয়রা জানায়, কালভার্টটি কলমদার নদীর ওপর অবস্থিত। সম্প্রতি নদী খনন করায় পানিতে স্রোত বৃদ্ধি পায়। নদীতে পানি বাড়ার ফলে কালভার্টটি দেবে ভেঙে যায়। এরপর থেকে এটি চলাচলের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। 

ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। মালামাল আনা-নেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে মালামাল নিয়ে আসা হলেও কালভার্ট পার হতে গিয়ে ভ্যান উল্টে যায়। দ্রুত এটি সংস্কার কিংবা নতুনভাবে তৈরি করা দরকার। 

উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু হবে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্য কলন্দর নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্ট নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন