সাংবাদিক মারধর : সুরভী-৯ লঞ্চ স্টাফের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ


বরিশাল নদী বন্দরে এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে টেলিভিশন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মারধরে শিকার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার মিদুল ইসলাম মোহন ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের রুহুল আমিন ওই অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। তিনি জানান, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুরভী-৯ লঞ্চে যাত্রী নির্যাতনের খর পেয়ে ভিডিও ধারণের জন্য সেখানে গেলে তাদেরও মারধর ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এসময়ে ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়।
ওদিকে এই ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠন। একই সাথে হামলাকারীদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
বিচারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা। বরিশাল ইলেক্ট্র্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (বিইমজা) সভাপতি ফিরদাউস সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সুমন। বরিশাল টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (বিটিসিএ) সভাপতি গোবিন্দ সাহা, সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদার। বরিশাল ফটো সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক খান রাসেলসহ সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বলছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এভাবে হামলার ঘটনা নৌ-পথে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বেপরোয়া মনোভাব প্রকাশ পায়। সেই সাথে তাদের হাতে যাত্রী ও গণমাধ্যম নিরাপদ নয়। এজন্য হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহন করা হবে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুরভী-৯ লঞ্চটি মেঘনা নদীতে শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে অগ্নিকান্ডের শিকার হয়। এই ঘটনায় লঞ্চে অবস্থানকারী যাত্রীরা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করেন। যারা লাইভ করিয়েছেন এবং পোস্ট দিয়ে বার্তা ছড়িয়েছেন তাদের বরিশাল নদী বন্দরে রোববার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে লঞ্চটি নোঙর করার পর লঞ্চের ম্যানেজার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। এই মারধরের চিত্র সংগ্রহ করতে সেখানে যান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার দেওয়ান মোহন ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের রুহুল আমিন। এসময়ে তাদেরকেও আটকে মারধর করা হয়।
ঘটনাটি বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সামনেই ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের বরিশাল ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন রানা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এসএমএইচ
