ঝড়ে ব্রহ্মপুত্র থেকে ২৮ নৌকা নিখোঁজ


গাইবান্ধায় রোববার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই ঝড়ে গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৫ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ২৮টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে।
ঝড়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলী বেগম (২৫), পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুল গোফ্ফার (৪২) ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৬০)।ফুলছড়ি উপজেলার ডাকাতিয়ার চর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন (৩৮) মদনপাড়া এলাকায় ঝড়ে অটো উলটে তিনি মারা যান।
এছাড়া ঝড়ে সদর, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের তারের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে কামারাজানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ২৮টি নৌকা নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তবে সেগুলোতে কতগুলো যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, তিনি তার উপজেলার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে লণ্ডভণ্ড ঘরবাড়ি গাছপালা তিনি দেখেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, ঝড়ে ঘরের চালের উপর গাছ ভেঙে পড়ে এবং গাছচাপায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এমবি
