ঢাকা রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

Motobad news

গির্জা যখন কঙ্কালের সমাহার!

গির্জা যখন কঙ্কালের সমাহার!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বিশ্বের বিভিন্ন জাগায় কত যে অদ্ভূত ও বিস্ময়কর দর্শনীয় স্থান আছে তার কোনো হিসাব নেই। এর কোনোটি প্রাকৃতিক বিস্ময় আবার কোনোটি মানুষের তৈরি। তেমনি একটি বিস্ময়কর ও রহস্যময় স্থান হলো সেডলেক ওসারি। এটি কঙ্কালের গির্জা নামেও পরিচিত।

 সেডলেক ওসারি একটি ছোট রোমান ক্যাথোলিক গির্জা। যা চেক প্রজাতন্ত্রেরে সেডলেকে অবস্থিত। এই গির্জাটি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী ভিড় জমায় সেখানে। গির্জার ভেতরে থরে থরে সাজানো আছে কঙ্কালের হাড়। মাথার উপরে ঝুলছে বিশালাকার কঙ্কালের ঝাড়বাতি। চারপাশে যেন হাজার হাজার কঙ্কালের মুণ্ডু গির্জায় উপস্থিত সবাইকে দেখছে!

জানা যায়, ৪০-৭০ হাজার মানুষের কঙ্কাল দিয়ে শৈল্পীকভাবে সাজানো হয়েছে গির্জাটি। এই গির্জাটি চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম পর্যটকদের আকর্ষনীয় স্থান। এই গির্জাটির অন্যতম আকর্ষণ হলো সেখানকার বড় একটি কঙ্কালের ঝাড়বাতি। মানবদেহের ২০৬ ধরনের হাড় ব্যবহার করা হয়েছে এ ঝাড়বাতি তৈরিতে।

গির্জার আরো একটি আকর্ষণ হলো সোয়র্জনেবার্গ পরিবারের এর কুলচিহ্ন। এটিও কঙ্কাল দিয়ে তৈরি। ১২৭৮ সালে হেনরি নামে একজন মঠাধ্যক্ষকে বোহেমিয়ার রাজা আটাকোরা ২ জেরুজালেম পাঠান। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি গলগোথার কিছু মাটি সঙ্গে করে আনেন। পরবর্তীতে তা তিনি মঠের গোরস্তানের চারপাশে ছড়িয়ে দেন।

এই খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়্ এরপর থেকে সবাই বেঁচে থাকতেই জানায়, মৃত্যুর পর যেন তাদেরকে সেখানে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকেই ইউরোপজুড়ে সেলডেক হয়ে ওঠে জনপ্রিয় এক সমাধিক্ষেত্র।

গির্জাটি ইউরোপের মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম এক নিদর্শন। এই গির্জার গম্বুজের চূড়াতেও আছে সোনালি রঙের মাথার খুলি ও হাড় দিয়ে (ক্রসবোন) নকশা করা। গির্জার চারপাশে অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে কবরস্থান। এ গির্জার মধ্যে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ।িিিিি
৭০ হাজার মানুষের কঙ্কাল দিয়ে সাজানো এক গির্জা

বিশ্বের বিভিন্ন জাগায় কত যে অদ্ভূত ও বিস্ময়কর দর্শনীয় স্থান আছে তার কোনো হিসাব নেই। এর কোনোটি প্রাকৃতিক বিস্ময় আবার কোনোটি মানুষের তৈরি। তেমনি একটি বিস্ময়কর ও রহস্যময় স্থান হলো সেডলেক ওসারি। এটি কঙ্কালের গির্জা নামেও পরিচিত।

 সেডলেক ওসারি একটি ছোট রোমান ক্যাথোলিক গির্জা। যা চেক প্রজাতন্ত্রেরে সেডলেকে অবস্থিত। এই গির্জাটি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী ভিড় জমায় সেখানে। গির্জার ভেতরে থরে থরে সাজানো আছে কঙ্কালের হাড়। মাথার উপরে ঝুলছে বিশালাকার কঙ্কালের ঝাড়বাতি। চারপাশে যেন হাজার হাজার কঙ্কালের মুণ্ডু গির্জায় উপস্থিত সবাইকে দেখছে!

জানা যায়, ৪০-৭০ হাজার মানুষের কঙ্কাল দিয়ে শৈল্পীকভাবে সাজানো হয়েছে গির্জাটি। এই গির্জাটি চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম পর্যটকদের আকর্ষনীয় স্থান। এই গির্জাটির অন্যতম আকর্ষণ হলো সেখানকার বড় একটি কঙ্কালের ঝাড়বাতি। মানবদেহের ২০৬ ধরনের হাড় ব্যবহার করা হয়েছে এ ঝাড়বাতি তৈরিতে।

গির্জার আরো একটি আকর্ষণ হলো সোয়র্জনেবার্গ পরিবারের এর কুলচিহ্ন। এটিও কঙ্কাল দিয়ে তৈরি। ১২৭৮ সালে হেনরি নামে একজন মঠাধ্যক্ষকে বোহেমিয়ার রাজা আটাকোরা ২ জেরুজালেম পাঠান। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি গলগোথার কিছু মাটি সঙ্গে করে আনেন। পরবর্তীতে তা তিনি মঠের গোরস্তানের চারপাশে ছড়িয়ে দেন।

এই খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়্ এরপর থেকে সবাই বেঁচে থাকতেই জানায়, মৃত্যুর পর যেন তাদেরকে সেখানে সমাহিত করা হয়। এরপর থেকেই ইউরোপজুড়ে সেলডেক হয়ে ওঠে জনপ্রিয় এক সমাধিক্ষেত্র।

গির্জাটি ইউরোপের মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম এক নিদর্শন। এই গির্জার গম্বুজের চূড়াতেও আছে সোনালি রঙের মাথার খুলি ও হাড় দিয়ে (ক্রসবোন) নকশা করা। গির্জার চারপাশে অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে কবরস্থান। এ গির্জার মধ্যে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন