করোনায় ক্ষতির মুখে বরিশালের পোশাক ব্যবসায়ীরা


পোশাক ঘিরেই ইদের কেনাকাটার মূল আকর্ষণ। ইদের আগে মার্কেট বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কার্যত গত বছর থেকেই বসে আছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফ্যাশন হাউজগুলোতে নেই ক্রেতার ভিড়। গত ইদ ও দুই বৈশাখেও ব্যবসাটা হয়নি। এবার ইদকে ঘিরে যেটুকু আশায় বুক বেধেছিলেন দুই দফা সরকারি কঠোর বিধিনিষেধে সে আশায় গুড়েবালি। ইদ পূর্ব টানা দুই সপ্তাহ লকডাউনে সব যেন শূন্য খাঁখাঁ।
এবার ঈদুল ফিতরেকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা গতবছরে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার যে আয়োজন করেছিলেন তা যেন বালির বাঁধের মত ধসে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন পোশাক ব্যবসায়ী ও ব্রান্ডের ফ্যাশন হাউজগুলো। ২৮ এপ্রিল সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষে ইদের বাকি মাত্র দুই সপ্তাহ। বর্তমানে করোনার যে ঊর্ধ সংক্রমণ তাতে পোশাক বাজারের স্বাভাবিক গতি ফিরে পাওয়া দুষ্কর। আবার নতুন করে লকডাউন ঘোষিত হলে ফ্যাশন হাউজগুলো নাভিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকলেও পথে বসবে ক্ষুদে ও মাঝারি পোশাক ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় যদি ঘর বন্দি থাকতে হয় তাহলে করোনায় না মরলেও না খেয়ে মরতে হবে তাদের। গতকাল বরিশাল নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও পোশাক সরবরাহকারী মালিকদের সাথে কথা বললে এভাবেই আক্ষেপ করেন তারা।
নগরীর গীর্জা মহল্লার পাঞ্জাবি দোকানের ব্যবসায়ী মোস্তফা জমাদ্দার জানান, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি পাঞ্জাবি সরবরাহ করেন তিনি। ইদের মার্কেটে বড় একটা অংশই বিক্রি হয় পাঞ্জাবি। কিন্তু এবছর মার্কেট খুলবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই তাই ঢাকা থেকে নতুন কালেকশনও আনছেন না। গত একবছরে বিক্রি কমে যে অবস্থা দাড়িয়েছে তাতে দোকান ভাড়া, আর শ্রমিকের বেতন দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কর্মহীন হয়ে মানুষ ইদের পোশাক কিনবে না দুবেলা পেট পুরে খাবে তা নিয়ে সংসয় প্রকাশ করেছেন মেহেন্দিগঞ্জে পোশাক হাউজের স্বত্বাধিকারী আল- আমিন। এই ক্ষুদে ব্যবসায়ী বলেন, নিম্ম ও মধ্যম আয়ের মানুষই আমার দোকানের মেইন কাস্টমার। গত এক বছরে এই মানুষগুলোই বেশি সংকটের মধ্যে সংসার চালাচ্ছে। এখন সবার হাতই শূন্য। পরিবারের সবার জন্য জামা কাপড় কেনা হয়তো তাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। আর এর প্রভাব পড়বে আমাদের দোকানে। অবশ্য এখন তো আর কিছু বাকি নেই। পথে বসা বাকি আছে।
এমইউআর
