রাজা ফিরলেন তার সিংহাসনে


বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়ে দল কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হিসাবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে আফ্রিদির ৩৯ উইকেট ছাড়িয়ে গিয়ে টাইগার অলরাউন্ডারের উইকেটসংখ্যা এখন ৪১।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) আইসিসির আপডেট করা তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে ৪১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে সাকিব। এরপরই অবস্থান আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর। তার পয়েন্ট ২৯৪। এরপর যথাক্রমে ২৮২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস এবং আফগান রশিদ খান আছেন ২৭০ পয়েন্ট নিয়ে।
এর আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টির সেরা অলরাউন্ডারের জায়গা পুনরুদ্ধার করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আবারও সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান এখন সাকিবের। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীকে সরিয়ে এক নম্বরে তিনি। সাকিবের রেটিং পয়েন্ট এখন ২৯৫। ২৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছেন নবী।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেটের হিসাবে সাকিব টপকেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পেস কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে। মালিঙ্গার ১০৭ উইকেট টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সাকিবের উইকেট এখন ১১৫টি।
এবারের আসরে আরও কয়েকটি মাইলফলক অপেক্ষা করছে সাকিবের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পেছনে ফেলার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ফর্ম ধরে রাখতে পারলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের হিসাবে প্রোটিয়া কিংবদন্তিকে টপকে যাবেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্ব আসরে এবি ডি ভিলিয়ার্স করেছেন ৭১৭ রান। ৩০ ম্যাচের ২৯ ইনিংসে তিনি এই রান করেন, যার গড় ২৯.৮৭। সর্বোচ্চ রানের হিসাবে সাকিব আল হাসান এখন ৬৮৫ রান নিয়ে ভিলিয়ার্সের পরেই অবস্থান করছেন। ২৯ ম্যাচের ২৯ ইনিংসে সাকিবের গড় ২৮.৫৪। ভিলিয়ার্সের স্ট্রাইকরেট ১৪৩.৪০ হলেও সাকিবের স্ট্রাইকরেট ১২৬.৬১।
পরিসংখ্যানের হিসাবে ভিলিয়ার্সের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে দুটি জায়গায়। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৮৪। এবি ডির সবচেয়ে বড় স্কোরটি ৭৯। চার হাঁকানোর দিক দিয়েও ভিলিয়ার্সের চেয়ে এগিয়ে সাকিব। সাকিবের চার ৫৬টি হলেও ভিলিয়ার্স হাঁকিয়েছেন ৫১টি চার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সাকিব এখন ষষ্ঠ স্থানে। ভিলিয়ার্স ছাড়াও সাকিবের চেয়ে বেশি রান আছে মাহেলা জয়াবর্ধনে, ক্রিস গেইল, তিলকারত্নে দিলশান ও বিরাট কোহলির। মাহেলা জয়াবর্ধনের ১০১৬, ক্রিস গেইলের ৯২০, তিলকারত্নে দিলশানের ৮৯৭ ও বিরাট কোহলির নামের পাশে রয়েছে ৭৭৭ রান।
এইচকেআর
