শিক্ষাগত যোগ্যতা চতুর্থ শ্রেণি: তিনি পেলেন ছাত্রদলে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক


গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রদলের ৩৪৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে ৬৬ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করায় কমিটির ২২১ নম্বর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম খান টনি।
জেলার নাজিরপুর সদরের ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন অন্যের দোকানে শ্রমিক হিসেবে নিয়মিত কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এমন যুবক জাহিদুল ইসলাম খান টনিকে করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি স্থানীয় মো. আনছার আলী খানের ছেলে।
এ ঘটনায় নাজিরপুরসহ জেলাজুড়ে সংগঠনের মধ্যে পদবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ ও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শামিম হাওলাদার বলেন, টনি কখনো ছাত্রদল করেনি। তাকে ছাত্রদলের কোনো সভা-মিছিলেও দেখা যায়নি। জেলা কমিটি আমাদের (উপজেলা) সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই কয়েকজনকে পদ দিয়েছে। এতে প্রকৃত ছাত্রদলের কর্মীরা পদবঞ্চিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম খান টনি বলেন, আমাকে কী কারণে পদ দেওয়া হয়েছে, তা জানি না। তবে আমি বিএনপিকে মনে-প্রাণে ভালোবাসি। তবে আমার থেকেও অনেক অযোগ্যদেরও পদ দেওয়া হয়েছে।
আরো জানা যায় পোশাক শ্রমিক নজিরপুরের উজ্জ্বল হালদার এবং এনজিও কর্মী এসএম শরীফুল ইসলামকে যথাক্রমে দেওয়া হয়েছে গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মো. তানজিদ হাসান শাওন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি কীভাবে বা কাদের লবিংয়ে জেলাজুড়ে এমন আরও কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে জেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছে তা আমার জানা নেই।
এইচেকআর
