ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

কলাপাড়ায় বিদ্যালয়ের বেহাল দশা 

কলাপাড়ায় বিদ্যালয়ের বেহাল দশা 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ৬ নং আনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। সয়েল টেষ্ট হলেও এখন পর্যন্ত নতুন ভবনের অনুমোদন হয়নি। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়  ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষনায় পাঠদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে কলাপাড়ার শিক্ষকরা। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা একের পর এক ধসে পড়ছে। হঠাৎ করে জলছাদ ধসের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার বিকেলে শিক্ষক-অভিভাবকদের জরুরি সভা হয়। সভায় খোলা মাঠে তাঁবু টানিয়ে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ। বিদ্যালয়ের মূল ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে আনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে চলছিল। গত ০৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের জলছাদের অনেকাংশে ধসে পড়ে।

দেয়ালের অনেক জায়গায় ধরেছে ফাটল। বর্তমানে স্কুলের ভবনটি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। দুই বছর আগে মাটি টেস্ট হলেও আজ পর্যন্ত কোন নতুন ভবন তৈরির করা হয়নি।

আনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ব্যবহরের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় ভবন যেকোন সময় ধসে গিয়ে শিক্ষকসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবন নাশের হুমকি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।

এ ব্যাপারে আনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম কাজল মৃধা বলেন, জজরাজীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলো সব জায়গায় বড় বড় ফাটল, ভীম গুলো রড থেকে আলাদা হয়ে খসে পড়েছে, কলামের ঢালাই রড থেকে আলাদা হয়ে গেছে জল ছাদ ধসে পড়েছে বিধায় পাঠদান করা সম্পুর্ন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরি সভায় পরবর্তী নতুন ভবন না পাওয়া পর্যন্ত বাহিরে খোলা মাঠে তাবু খাটিয়ে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।


উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। একই সাথে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

 

 

 

এনামুল হক /এইচকেআর 


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন