বরিশালে রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লিদের ঢল


গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজানের প্রথম জুমা ছিলো ১৬ এপ্রিল। করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রমজানের প্রথম জুমায় মানুষের ঢল নেমে আসে মসজিদ গুলোতে। জুমার নামাজের শেষে প্রতিটি মসজিদে মহামারি করোনা থেকে দেশ এবং বিশ্ববাসীকে মুক্তি দানের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম এবং খতিবগণ।
বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ বায়তুল মোর্কার জামে মসজিদ, এবায়দুল্লাহ এবং কসাই জামে মসজিদসহ শহরের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মসজিদেই মুসল্লিদের ভীর বেশি ছিলো। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রমজান মাসের প্রথম জুমা নামাজে অংশ নেন।
তবে মহামারি করোনার প্রভাবে কিছু কিছু মসজিদে মুসল্লিদের সংখ্যা কিছুটা কম ছিলো। ওইসব মসজিদে নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের বেশির ভাগই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে দেখা গেছে। আবার বেশিরভাগ মুসল্লির হাতেই ছিল জায়নামাজ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে কতিপয় বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও কঠোর লকডাউনে প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের বড় মসজিদ কিংবা বরিশালের বাইরে নেছারাবাদ, মির্জাগঞ্জ কিংবা গুঠিয়ার বায়তুল আমানা জামে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের সুযোগ পায়নি বেশিরভাগ মানুষ। কেননা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা ছাড়াও নামাজ শুরুর আগেই সড়কের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন চেকপেস্টে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা রোধে তল্লাশি করতে দেখা যায়।
টিএইচএ/
