সাংবাদিক সৌমিত্রকে হত্যার হুমকি, অভিযুক্ত খোকন ৬ দিনের রিমান্ডে


কালের কণ্ঠের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী ও দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকিদাতা বহু প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত খোকন চন্দ্র নাথকে দুটি মামলায় ৩ দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক খন্দকার ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অভিযুক্ত খোকন সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মছজিদ্দা গ্রামের সতীশ মহাজন বাড়ির মৃত পরিমল চন্দ্রনাথের ছেলে।
গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় সৌমিত্র চক্রবর্তীর হোয়াটসআপ নম্বরে ফোন করে খোকন নিজের পরিচয় গোপন রেখে বলেন তার দপ্তরে সাংবাদিক সৌমিত্র চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগ আছে। ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠালে এই সব অভিযোগ ফেলে দেওয়া হবে। এসব বিষয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে খোকন এ রকম সাংবাদিককে মেরে ফেলতে তার সময় লাগবে না বলে হুমকি দেয়!
এ বিষয়ে সাংবাদিক সৌমিত্র থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর খোকনের প্রতারণার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দেওয়ায় তিনি বাঁশবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী জাহাঙ্গীর ও কুমিরার চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম চৌধুরীকেও হত্যার হুমকি দেন। এ ছাড়া তার প্রতারণার শিকার বাড়বকুণ্ডের ইউসুফ নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে টাকা, মোবাইলসহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল লুট ও চাকরি দেওয়ার নাম করে আরো ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তিনিও থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়া হত্যার হুমকি দেওয়ায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানও জিডি করেন এবং মনজু নামক এক ব্যক্তি প্রতারণার অভিযোগে জিডি করেন। এসব ঘটনায় ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর খোকনকে র্যাব-পুলিশ খুঁজতে শুরু করে। পরে গত ১৫ আগস্ট গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে সীতাকুণ্ড থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় তার ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী অফিসারবৃন্দ। শুনানি শেষে তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালত তাকে ৭ দিনের মধ্যে রিমান্ডে আনার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। রিমান্ডে আনলে তার প্রতারক চক্রে কারা কারা আছে তা বের হয়ে আসবে।
এমবি
