ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

সবচেয়ে কম বয়সী কোটিপতি তিনি!

সবচেয়ে কম বয়সী কোটিপতি তিনি!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

নিখিল কামাথ। ১৪ বছর বয়সে স্কুলের পাঠ চুকিয়েছিলেন তিনি। এরপর শুরু করেন শেয়ার ব্যবসা। আজ স্কুলের ঝরে পরা সেই বালক ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ারদের একজন। বর্তমানে তার বয়স মাত্র ৩৪ বছর। অথচ দেশটির গণমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া বলছে, বিলিয়নিয়ারদের বয়স সাধারণত ৪০ বছরের বেশি হয়।  

নিখিল শুধু বিলিয়নিয়ারই নয়, ভারতের সবচেয়ে বড় ট্রেডিং ব্রোকারেজ জেরোথা ব্রকিং লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতাও। ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, জেরোথার আর্থিক মূল্য এখন ৩৫ বিলিয়ন রুপি। সম্প্রতি হিউম্যানস অব বোম্বে ব্লগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিখিল কীভাবে এই জায়গায় আসলেন তার গল্প বলেছেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ  করেছে এনডিটিভি ও ডিএনএ ইন্ডিয়া।
 
ছোটবেলা থেকেই স্কুল ভালো লাগত না নিখিলের। সেই খারাপ লাগা থেকে ১৪ বছর বয়সে নিখিল তার বন্ধুর সঙ্গে মিলে পুরনো ফোনের ব্যবসা শুরু করেন। বিষয়টি তার মা টের পেলে তিনি একটি ফোন টয়লেটে ফেলে দেন। তখন ব্যবসা গুটিয়ে আবার স্কুলে ফেরেন নিখিল। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি টান না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে দিতে চায়নি। 

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে, নিখিলের কাজের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। কিন্তু নিখিল পড়াশোনার জীবনকে আর বয়ে বেড়াতে চাননি। তিনি সেখানেই স্কুলের পাট চুকিয়ে দেন। তার চিন্তুা শুধু টাকা উপার্জন করা। 

এবার পড়েন আরেক বিড়ম্বনায়। ডিগ্রি না থাকায় ভালো কাজের ডাক পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু উপার্জনের নেশা তাকে পেয়ে বসেছিল। ফলে এমন কিছু খুঁজছিলেন যেটাতে ডিগ্রির কোনো প্রয়োজন নেই।  

তখন ডাক পান একটি কল সেন্টারের। আট হাজার রুপি বেতনে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করতেন তিনি। থাকতেন বান্ধবীর সঙ্গে। কিছুদিন পর তার বাবা তাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়সে সেই টাকা দিয়ে তিনি শেয়ার লেনদেনের কাজ শুরু করেন।

সেই ব্যবসায় একটু ভিত্তি গড়ে উঠার পর কল সেন্টারের চাকরি ছেড়ে দেন নিখিল। তিনি তার বড় ভাই নিতিনকে নিয়ে চালু করেন কামাথ অ্যাসোসিয়েটস। ২০২০ সালে তারা তাদের ব্যবসার সঞ্চয় তুলে নিয়ে ট্রেডিং ব্রোকারেজ জেরোথা শুরু করেন। যার বাজারমূল্য এখন ৩৫ বিলিয়ন রুপি।

নিখিল বলেন, ‘বিলিয়নিয়ার হওয়ার পরও আমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমি এখনো  দিনের ৮৫ শতাংশ সময় কাজ করি এবং সবসময় অনিশ্চিত জীবনের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি।’


/ইই
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন