কিশোরীকে বিয়ে, সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ স্থগিতই থাকছে


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সালিশে গিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ের ঘটনায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের বরখাস্তের আদেশ স্থগিতই থাকছে। সেইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশে গিয়ে নিজেই এক কিশোরীকে বিয়ে করে বসেন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। এ ঘটনায় গত ২৯ জুন তাকে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সরকারের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত ৭ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৯ জুনের আদেশটি স্থগিত করে।
হাইকোর্টের ওই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল একমাস অথবা নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত। তারই ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনটি রোববার উপস্থাপন করা হলে আদলত স্থগিতাদেশ বহাল রাখার পাশাপাশি রুল জারি করে।
প্রসঙ্গত, ওই কিশোরী গত ২৪ জুন প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়লে তার বাবার নালিশ পেয়ে চেয়ারম্যান শাহীন শুক্রবার সালিশ ডাকেন বলে স্থানীয়রা জানায়। সেই সালিশে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায় ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের। তখন তিনি ওই কিশোরীকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।
এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে পরদিন চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ওই কিশোরী বাড়িতে ফিরে যান। শাহীন নিজেই সেই তালাকের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে দাবি করেন।
এইচেকআর
