আমতলীতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে খেয়াপারা পার


মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে বয়া, লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চলছে আমতলী-পুরাকাটা খেয়াপারাপার (ট্রলার সার্ভিস)। কোন ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী নাই আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে । এসব অনিয়ম দেখার যেন কেহ নাই।যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন যাবৎ আমতলী-পুরাকাটা ফেরীঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে খেয়া পারাপার অব্যাহত রয়েছে।
আমতলী ও বরগুনার শত শত লোক দৈনিক এই খেয়া পারাপার হচ্ছে। খেয়াগুলোতে নাই কোন নিরপত্তা সামগ্রী। পায়রা নদীর প্রবল স্রোত ও ভয়াবহতার দিক বিবেচনা করে প্রতিটি খেয়ায় ২ জন মাঝি ও ২০/২৫ জন যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও প্রতিটি খেয়ায় ১ জন মাঝি, ১০/১২টি মোটর সাইকেল ও ৬০/৬৫জন যাত্রী পারাপার করে থাকে।
বরগুনা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনে আমতলী পুরাকাটা খেয়াঘাট ইজারা প্রদান করা হয়। প্রতিদিন শতশত নারী পুরুষ- শিক্ষার্থী, শিশু ও বরগুনা জেলা শহরে অবস্থিত অফিসগামী মানুষ এই খেয়াপার হয়ে যাতায়াত করে থাকে। পায়রা খরস্রোতা নদী আমতলী হইতে পুরাকাটা যেতে হলে প্রায় তিন কিলোমিটার নদী পাড়ি দিতে হয়। প্রায়ই ঝড় ও প্রবল স্রোতের কবলে পরে যাত্রীবাহী ট্রলার গুলো।
আমতলী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ জাকির বলেন, আমরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হই।খেয়াগুলোতে জীবন রক্ষাকারী কোন সামগ্রী নাই। আমতলী রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সিনিয়নর সাংবাদিক মো. হায়াতুজ্জামান মিরাজ বলেন, প্রতিদিন শতশত মানুষ খেয়াপার হয় কোন ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী ছাড়াই। যাত্রীদের দুঘর্টনার কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের জরুরী ভাবে নজর দেয়া প্রয়োজন। আমতলী-পুরাকাটা জেলাপরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন খেয়া ঘাটের ইজারাদার শ্যামল চন্দ্র কর্মকার মুঠোফোনে বলেন, সরকারী নির্দেশণা পেলে তা বাস্তবয়ন করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা পরিষদের প্রদান নির্বাহী কর্মকর্তা 'মো.ওয়াহিদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন,নিরাপত্তা সামগ্রীর বিষয় ইজারাদারকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এইচেকআর
