চলে গেলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান


বাংলা একাডেমির সভাপতি আনিসুজ্জামান স্যার চলে গিয়েছিলেন ১৪ মে ২০২০।
শামসুজ্জামান খান (২৯ ডিসেম্বর ১৯৪০) হলেন একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক, লোক সংস্কৃতি ও পল্লীসাহিত্য গবেষক এবং বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক।
খানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্ম হল বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শিরোনামে ৬৪ খন্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহসালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খন্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
প্রাথমিক জীবন-
খানের বাবা এমআর খান কলকাতার সরকারী বাড়িতে অনুবাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাঁর দাদার দাদা এলহাদাদ খান এবং তার ভাই আদালাত খান ঐ পনিবেশিক ভারতে অত্যন্ত প্র শংসিত নামী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। শামসুজ্জামান খান মাত্র দুবছর বয়সে বাবাকে হারান। তার মা এবং দাদি তাঁকে লালন-পালন করেন।
খান ১৯৬৩ এবং ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে অনার্স এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৪ সালে মুন্সীগঞ্জ হারাগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।
কর্মজীবন-
খান তার শিক্ষকতা জীবন হরগঙ্গা কলেজে শুরু করেন। খান জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৮-৭৩) এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৯-২০০১) এর শিক্ষক ছিলেন।
২৪ মে ২০০৯ সালে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন। তার পদের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয় যা ২৩ মে ২০১৮ সালে শেষ হয়। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে শামসুজ্জামান খান কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার'-এর অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান।
সমালোচনা-
খান বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজনের অনুমতি দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। কেননা এই উৎসব আয়োজন বিভিন্ন কারণে বাংলা একাডেমির আদর্শ-নীতি-উদেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। সলিমুল্লাহ খান এক টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে একজন লেখক ও প্রশাসক হিসাবে তাঁর অনুপযুক্ততার দিকে ইঙ্গিত করে তার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
কর্ম-
বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা
ফোকলোর সংগ্রহমালা
পুরস্কার ও সম্মননা
অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার (১৯৮৭);
কালুশাহ পুরস্কার (১৯৮৭);
দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার (১৯৯৪);
আব্দুর রব চৌধুরি স্মৃতি গবেষণা পুরস্কার (১৯৯৮);
দেওয়ান গোলাম মোর্তজা পুরস্কার (১৯৯৯);
শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কার (২০০১);
মীর মশাররফ হোসেন স্বর্ণপদক (২০০৪)
বাংলা একাডেমি পুরস্কার
একুশে পদক
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৭)
এইচকেআর
