ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের অনুচর হিসেবে কাজ করেছে : নানক

জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের অনুচর হিসেবে কাজ করেছে : নানক
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সেদিন কে যে কাক আর কে কোকিল, কে আমাদের পক্ষে আর কে আমাদের বিপক্ষে- তা বোঝা যায়নি। খুনি মোশতাক যখন বঙ্গবভনে সংসদ সদস্যদের ডাকলো, তখন আমরা এমপিদের বাড়ি বাড়ি চিঠি নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছি। চিঠি দিয়ে আমরা বলেছি, বঙ্গভবনে মোশতাকের ওই সংসদীয় সভায় উপস্থিত হওয়া যাবে না। তারপরও কিন্তু অনেকেই সেই সভায় অংশ নেন। বিভ্রান্ত করা হয় দেশের মানুষকে। বিভ্রান্ত করা হয় বিশ্ববাসীকে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে প্রতিরোধ-প্রতিবাদের ডাকের অভাব ছিল- সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, আমরা যখন ঘুরে বেরিয়েছি চাতক পাখির মতো, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আহ্বানের প্রত্যাশায়, তখন প্রতিবাদের আহ্বান আসেনি। অনেক কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তাই অনেক কথা বলা যাবে না।১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের আজ পর্যন্ত মুখোশ উন্মোচন করা হয়নি বলেই ১/১১-এর সময়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি।

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের এই নেপথ্যদের যদি খুঁজতে যাই তাহলে একাত্তরকে খুঁজে বের করতে হবে। একাত্তরকে জানতে হবে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন কারা বিরোধিতা করেছিল? কারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে? জিয়াউর রহমানের মতো লোকেরা আইএসআইয়ের অনুচর হিসেবে গোয়েন্দার দায়িত্ব পালন করেছে। তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। আর চিহ্নিত করতে পারিনি বলেই সবসময় একটি অজগর সাপ, একটি জাতি সাপকে নিয়ে পথ চলেছি।’ আর সেই জাতিসাপ-অজগর সাপ সময়ের অপেক্ষায় ছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন