আত্মহত্যার পর বিয়ে, একসাথে কবরে 'নবদম্পতি'


ভারতের মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে একই গোত্রের ছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তারপরও প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। তাই অভিমানে আত্মঘাতী হন তারা। এরপরই 'ভুল' বুঝতে পারে তাদের পরিবার। পরে সেই ভুল শোধরাতে মৃত্যুর পর কবরস্থানে দেওয়া হয় প্রেমিক-প্রেমিকার 'বিয়ে'। তারপর সেখানেই 'নবদম্পতি'কে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
২২ বছরের মুকেশ শোনওয়ানে এবং ১৯ বছরের নেহা ঠাকরে একই গোত্রের ছিলেন। তাদের পারিবারিক নিয়ম অনুযায়ী, একই গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। তাই মুকেশ এবং নেহার বিয়েও মানতে রাজি হয়নি তাদের পরিবার। তাই অভিমানে আত্মঘাতী হন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার সকালে জলগাঁওয়ের ওয়েড গ্রামের একটি গাছে দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর আগে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন মুকেশ। তাতে শুধু লেখা ছিল 'বিদায়'।
আত্মঘাতী হওয়ায় দুজনের মরদেহই ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে। পরে শোভাযাত্রা করে তাদের দেহ কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানেই সম্পন্ন হয় মৃত্যুপরবর্তী তাদের এই 'বিয়ে'। পুলিশ আরো জানায়, কবরস্থানেই বসে বিয়ের আসর। তারপর 'নবদম্পতি'কে মাটি চাপা দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয় জায়গাটি। 'ভুল' শুধরে নিতেই না কি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন- এমনটাই জানিয়েছেন বর-কনের পরিবার।
এমবি
