ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news
দুধ বিক্রি করে মিন্টুর আয় মাসে দেড় লাখ

গরুর খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন যুবকরা

গরুর খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন যুবকরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

দৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মিন্টু। নিজ এলাকায় তার পরিচিতি মিন্টু মিয়া হিসেবেই। শুধুমাত্র দুধ বিক্রি করেই প্রতি মাসে তিনি আয় করেন দেড় লাখ টাকার বেশি।

মিন্টু মিয়া ওই উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। নিজ গ্রামে একটি উন্নত জাতের গরুর খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। দুধের পাশাপাশি নিজের খামারের ষাঁড় ও বকনা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। এরই মধ্যে আখাউড়ার অন্যান্য গ্রামে মিন্টু মিয়ার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। খামারে সফলতা পাওয়ায় গ্রামের অনেক বেকার যুবক তার দেখাদেখি গরুর খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, সাত বছর আগে ৩০ শতাংশ জমিতে বিদেশি উন্নত জাতের ছয়টি গাভী ও চারটি ষাড় নিয়ে খামার শুরু করি। এতে প্রায় পাচ লাখ টাকা খরচ হয়। প্রথম বছর খামার থেকে অভাবনীয় সাফল্য পাই। এতে মনোবল বেড়ে যায়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উন্নত জাতের বিদেশি গরু সংগ্রহ করি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার খামারে লাল, সাদা, কালো রঙের বাহামা, ফ্রিজিয়ান জাতের ১৫টি গাভীসহ ৪১টি গরু আছে। প্রতিটি গরু সুস্থ, ওজন ও স্বাস্থ্য ভালো। গরুগুলোকে দেশীয় পদ্ধতিতে পরিচর্যা করা হচ্ছে। আমার খামারে কয়েকজন বেকার যুবক কাজ করছেন। এছাড়া অনেক বেকার নিজের খামার গড়ে তুলেছেন।

মিন্টু মিয়ার খামার সংলগ্ন নিজস্ব জমিতে জার্মানি ও থাইল্যান্ডের পান-চুন ঘাসের চাষ করা হয়। এসব ঘাসের পাশাপাশি খামারের গরুগুলোকে খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। খামারের ১৫টি গাভী থেকে দৈনিক ১২০ লিটারের বেশি দুধ সংগ্রহ করা হয়। যা স্থানীয় বাজার ও ব্যাপারীদের কাছে প্রতি লিটার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। দুধ বিক্রি করে শ্রমিক, গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বাদে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হয় মিন্টু মিয়ার। যা বছরে দাঁড়ায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

প্রবাসী মিন্টু মিয়ার খামারের শ্রমিক মো. উসমান মিয়া জানান, যত্ন সহকারে খামারের প্রতিটি গরু লালন-পালন করা হয়। খামার গড়ে ওঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গরু বিক্রি করা হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার বলেন, মিন্টু মিয়ার খামার নিয়ে আমরা গর্বিত। ব্যক্তি উদ্যোগে বিশাল গরুর খামার স্থাপন করে তিনি এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।

মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, প্রবাসী রফিকুল ইসলাম সরকার ওরফে মিন্টু মিয়ার এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ ধরনের বাণিজ্যিক খামার জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


টিএইচএ/
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন