ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

করোনার কারনে লোকসানের মুখে স্বরূপকাঠির পেয়ারাচাষিরা

করোনার কারনে লোকসানের মুখে স্বরূপকাঠির পেয়ারাচাষিরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

প্রতিবারের মতো এবারও স্বরুপকাঠী উপজেলায় পেয়ারার ফলন ভালো হলেও চাষিদের মুখে হাসি নেই। কারন বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারার চাষ করে লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই ওঠাতে পারছেন না উপজেলার চাষিরা। গত দুই বছর করোনার প্রভাবে ক্রেতা পাইকারও তেমন আসছেন না।

উপজেলার আটঘর, কুড়িয়ানা, আদমকাঠি, ধলহার, জিন্দাকাঠি, ব্রাহ্মণকাঠিসহ ২৫ গ্রামে ৬৫৭ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দুই সহস্রাধিক চাষি এ পেয়ারা চাষাবাদ করে আসছেন, আর পেয়ারার চাষাবাদ ও বিপণন ব্যবস্থার সঙ্গে ঐসব এলাকার প্রায় ৬-৭ হাজার শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও আগেই পেয়ারা বাগান কিনে রাখায় লোকসানে পড়েছেন পাইকাররাও। আর যেসব চাষি বাগান বিক্রি করেননি তারা বলেছেন, এবার পেয়ারা বাগানেই পড়ে থাকবে। ব্রাহ্মণকাঠি, আদমকাঠিসহ বিভিন্ন গ্রামের চাষি ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

আদমকাঠি গ্রামের পেয়ারাচাষি প্রিন্স মণ্ডল জানান, এ বছর পেয়ারার ফলন ভালো হলেও উৎপাদন ব্যয় বেশি। কিন্তু দাম অনেক কম। পেয়ারা-আমড়াচাষি সমিতির সহ-সভাপতি দীনেশ মণ্ডল জানান, করোনার কারণে দেশব্যাপী লকডাউনে দূরের ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় পেয়ারার বাজার মন্দা। ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার কুড়িয়ানা, আটঘর, আদমকাঠি, জিন্দাকাঠিসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই পেয়ারার হাট বসে। বর্তমানে পেয়ারা পাইকারিভাবে মণপ্রতি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেয়ারার এ মৌসুমে ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এখান থেকে সরাসরি পেয়ারা কিনে নিয়ে যেতেন। অপরদিকে স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাও প্রতি দিন শত শত মণ পেয়ারা এখান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিতেন। পেয়ারার মৌসুমে বিগত দিনে কৃষক, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখর থাকত ভাসমান পেয়ারার হাট। কিন্তু গত বছর থেকে এ চিত্র পালটে গেছে। করোনার কারণে পাইকারদের আনাগোনা একেবারে কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, লকডাউনে কৃষিপণ্য পরিবহন ও বিপণনে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কৃষিপণ্য পরিবহনে কোনো সমস্যার কথা শুনলে কৃষি বিভাগ থেকে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পেয়ারাচাষিরা সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিতে পারবেন বলে তিনি জানান। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন