ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

'আইতেও ভোগান্তি,যাইতেও ভোগান্তি'

'আইতেও ভোগান্তি,যাইতেও ভোগান্তি'
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভান্ডারিয়ায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদের জামাত শেষে কোরবানির পশু জবাই এবং পরস্পর পরস্পের সাথে কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ উল আযহা উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের পোহাতে হচ্ছে  ভোগান্তি। 

বৈশ্বিক উচ্চ মাত্রার মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রামন(কেভিড-১৯) এর সাথে ভারতীয় ডেলটা প্লাস ভাইরাস যুক্ত হওয়ায় দেশের মানুষকে সুরক্ষায় রাখতে সরকার চলতি মাসের প্রথম দিক থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। শুরু হয় কঠোর লকডাউন। 

এর মধ্যে মুসলিম ধর্মের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আযহা উদ্যাপনে কোরবানির পশু কেনার জন্য ১৪জুলাই মধ্যরাত থেকে  বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিথিল করা হয় লকডাউন। ঐ সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে  পরিবারের সাথে একত্রে কোরবানির পশু কেনা সহ পরবর্তী আনন্দ ভাগাভাগি করে উদ্যাপনের জন্য অনেক ঝক্কিঝামেলা মোকাবেলা করে অনেকে বাড়ি আসেন । 

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাড়িতে আসা মানুষজন ২৩ জুলাই ফের কঠোর বিধিনিষেধ এর খবরে আবার একই ভোগান্তির মধ্যে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। 

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে উপজেলার লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, চরখালী ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে এস এ পরিবহন নামের একটি বাসে পিরোজপুর থেকে বাসে আসা শিশু সন্তান সাথে থাকা এক নারীকে চরখালী ফেরিঘাট এসে বাস থেকে নামিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসের হেলপার একটি সিএনজি করে দেয়।

 ফেরি পারের পর ঐ নারীর দুটি ব্যাগ গায়েব করে দেয় সিএনজি চালক বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। সব চেয়ে ভোগান্তি লক্ষ করা গেছে চলখালী ফেরিঘাট এলাকায়। ঘাটের চরখালী অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার ধরে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এর মধ্যে এ্যাম্বুলেন্সে রোগী না থেকে দেখা গেছে যাত্রী। এদিকে  ফেরি কৃর্তপক্ষ যানবাহনের ভিড় দেখে বিকেল থেকে যানজট নিরসনে দুটি ফেরি চালু করেন। 

এসময় মো.নাসীর সহ একাধিক যাত্রী দের বলতে শোনা যায় বাড়ি আইতেও (আসতে) ঝামেলা আর যাইতেও (যেতে) ঝামেলা । তার উপর অতিরিক্ত লোক ,অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হবে তাদের। তবুও কর্মস্থলে যেতে হবে। কারন  শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে সারা দেশের এ উপজেলায়ও শুরু হবে কঠোর বিধিনিষেদ। তাই এর পর অবস্থা যদি আরো খারাপ হয় সে জন্য যে ভাবেই হোক ফিরতে হবে কর্মস্থলে। 

অন্যদিকে ফেরিঘাটে বিকেলে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি দেখতে না পেলেও তাদের সাথে ঘাটের অবস্থা বিষয় অবহিত করা হলে সন্ধ্যা পৌঁণে আটটায় পুলিশের একটি গাড়ি ঘাটের দিকে যেতে দেখা গেছে। অন্যদিকে রাতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়া হবেনা কোন দুরপাল্লার গাড়ি এসমনটাও জানালেন কাউন্টার কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে নৌপথে ভান্ডারিয়া লঞ্চঘাট থেকে দুটি এবং চরখালী ফেরিঘাট থেকে একটি সহ মোট তিনটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ঘাট ছাড়েন। বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটের ভাড়ায় একজন যাত্রী নেয়ার কথা থাকলে তা শুধু কথার কথা। আদতে এসকল যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী তো আছেই তার উপর স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কাই করেননি অধিংকাশ যাত্রী। আর এসকল তদারকিতে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা ছিলনা লক্ষণীয়। 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন