ভাণ্ডারিয়ায় ভ্যাকসিন নিতে হাসপাতালের সামনে দীর্ঘ লাইন


ভাণ্ডারিয়া উপজেলা হাসপাতালে কোভিড-’১৯ভ্যাকসিন গ্রহনকারীদের লাইন প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। বৈশ্বিক উচ্চ মাত্রার করোনা সংক্রামন ভাইরাস (কোভিড-’১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা হাসপাতালে দ্বিতীয় বাড়ের জন্য পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গত সোমবার বিকেলে প্রাপ্ত ১২শ ৫০ডোজ ভ্যাকসিন গত মঙ্গলবার প্রথম দিন এ টিকা গ্রহন করে ৫৯ জন।
এদিকে ভ্যাকসিন নিতে হলে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তাই অনেকে হাসপাতালে না গিয়ে নিজেদের মোবাইল থেকে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করে আবার কেউ কেউ বাহিরে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ২০টাকা এন্ট্রিফি আর প্রিন্ট বাবদ ৫০টাকা সহ মোট ৭০টাকা খরচ করে রেজিষ্ট্রেশনের প্রিন্ট কপি নিয়ে হাসপাতালে যান টিকা গ্রহন করতে।
উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানাযায়, দ্বিতীয় বাড়ে চায়না সিনেফার্মা কোম্পানির ভেরিসেল ভ্যাকসিনটি এ উপজেলার জন্য জেলা থেকে প্রতিজনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ মিলে মোট ১২শ৫০ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। মানুষের চাহিদা বাড়ায় ঐ ১২শ৫০ডোজকে দ্বিগুণ করে ২৫শ ডোজ বানানো হয়। যা রবিবার ( ১৮ জুলাই) পর্যন্ত ১৮শ৪০ডোজ পুশ করা সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় জানান, মানুষের চাহিদার হাড় লক্ষ্য করায় বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করে চাহিদার ঘাটতি হবেনা এমন প্রতিশ্র”তিতে ১২শ৫০ডোজকে (প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ একত্র করে )২৫শ ডোজ করে এখন আমরা ২৫শ জনকে প্রথম ডোজ দিতে পারব। প্রথম বাড়ে জেলা থেকে এ উপজেলার জন্য অক্সফোর্ডের ৪হাজার ৭৯০ডোজ টিকা গ্রহনকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজে প্রায় ১হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এখন পর্যন্ত পায়নি। তা হলে দ্বিতীয় বাড়ে প্রথমডোজ গ্রহণকারী
২৫শ জন দ্বিতীয় ডোজ পাবে কিনা জানতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা জানান, প্রথম বারের দ্বিতীয় ডোজ যাদের বাকি আছে তারাও তা পাবে এবং দ্বিতীয় বাড়ের প্রথম ডোজ গ্রহনকারীরাও দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। অন্যদিকে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে করোনা পরীক্ষায় শনাক্তের হাড় কমে আসছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যে কোন সময় আবার এর হাড় বাড়তেও পারে বলে জানান ঐ কর্মকর্তা। তাই বাড়া কমার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা যাবেনা।
এইচকেআর
