মঠবাড়িয়ায় সওজ’র ১৮টি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূণ !


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সওজ'র ২টি সড়কের ১৮টি জারাজীর্ণ বেইলি সেতুর অধিকাংশ জোড়াতালি দিয়ে যান চলাচল করছে। মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ কয়েকশ ক্ষুদ্র ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংঙ্কা রয়েছে।
মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলো হলো ঝাউতলা বাজার সেতু, দেবীপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন সেতু, সাফা বাজার সেতু, তুষখালী সেতু, মাঝেরপুল সেতু, বহেরাতলা সেতু, মঠবাড়িয়া বাজার সেতু, থানাপাড়া সেতু, দফাদার বাড়ি সেতু, মোল্লারহাট সেতু, দক্ষিণ গুলিসাখালী সেতু ও সিএনবি সেতু।
মঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের থানা সংলগ্ন কাচারিবাড়ি সেতু, মোল্লাবাড়ি সেতু, ভাড়ানীখাল সেতু, সাপলেজা গুচ্ছগ্রাম সেতু, চরকগাছিয়া সেতু ও দক্ষিণ চরখগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতু। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ১৮ টি সেতুরই পাটাতনের প্লেট ভেঙে ও ছিদ্র হয়ে গেছে।
এর মধ্যে মোল্লারহাট বাজার, বহেরাতলা, কাঁচা বাজার, কাচারিবাড়ি, গুচ্ছগ্রাম দক্ষিণ চরকগাছিয়া সেতুসহ বেশ কয়েকটি সেতু দিয়ে চলাচল অনুপোযোগি হয়ে পরেছে। ট্রাক চালক আকরাম হোসেন বলেন, মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের সকল বেইলি সেতুই জরাজীর্ণ। এ পথে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। যে কোনো সময় সেতু ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুগুলোর স্থানে জর”রি ভিত্তিতে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মোঃ জসিম জানান, ঝূঁকিপূর্ণ সেতুগুলো পরিদর্শন করে প্রস্তাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য- সওজের সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ মার্চ বরিশালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বেইলি সেতুগুলো সরিয়ে সেখানে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে প্রকল্পটি এখানো আলোর মুখ দেখেনি।
এইচকেআর
