দুই সপ্তাহে অনলাইনে ১৬৬৫ কোটি টাকার পশু বিক্রি


করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হলেও অধিকাংশ ব্যাপারী সশরীরে হাটে গবাদিপশু নিয়ে এসেছেন। এতে অনলাইন বাজারে গত ১৪ দিনে ১ হাজার ৬৬৫ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ৬৭২ টাকায় গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। তবে অনলাইনে পশু বিক্রির সম্পর্কে ব্যাপারীরা সচেতন হলে বিক্রি আরও বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৪ দিনে (২ থেকে ১৫ জুলাই) অনলাইনে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮টি পশু ১ হাজার ৬৬৫ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ৬৭২ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য বর্তমানে অনলাইনের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ৬০২টি আর বেসরকারি উদ্যোগে ১ হাজার ১৬৬টি। অনলাইন বাজারে ১৪ দিনে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯২টি কোরবানিযোগ্য পশুর তথ্য আপলোড হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দেবাশীষ দাশ বলেন, গত বছর অনলাইনে ৮৭ হাজার গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত অনলাইনে যে পরিমাণ কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে, এর থেকে বেশি প্রত্যাশা ছিল। তবে গত বছরের থেকে এ বছর ভালো করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, সামনে কোরবানির গবাদিপশুর বড় অংশই অনলাইনে বেচাকেনা চলবে।
স্থায়ী পশুর হাটে ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট চালু রাখার সুপারিশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
দেবাশীষ দাশ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই পশুহাট বসা শুরু হয়েছে। হয়তো এখন অনলাইনে পশু বিক্রির প্রবণতা কিছুটা কমে যাবে। এরপরও যারা হাটে যেতে চান না, তারা অনলাইনে পশু কিনবেন।
এমবি
